পাতা:রাজযোগ.djvu/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

i অবতরণিকা অন্তর্জগতের ব্যাপার জানিবার জন্ত সাহায্য করে, এমন কোনও যন্ত্র নাই। কিন্তু তথাপি আমরা ইহা নিশ্চয় জানি যে, কোন বিষয়ের প্রকৃত বিজ্ঞান লাভ করিতে হইলে পৰ্যবেক্ষণ আবশুক । বিশ্লেষণ ব্যতীত বিজ্ঞান নিরর্থক ও নিষ্ফল হইয় ভিত্তিহীন অনুমানমাত্রে পর্য্যবসিত হইয়া পড়ে। এই কারণেই যে অল্প কয়েক জন মনস্তত্ত্বান্বেষী পৰ্য্যবেক্ষণ কবিবার উপায় জানিয়াছেন, তাহারা ব্যতীত আর সকলেই চিরকাল কেবল বাদামুবাদ করিতেছেন মাত্র । রাজযোগ-বিদ্যা প্রথমত: মানুষকে তাহার_নিজের আভ্যন্তরীণ অবস্থাসমূহ পৰ্য্যবেক্ষণ করিবার উপায় (Fಿಕ್ಕಿಗ দেয় । মনই ঐ পৰ্য্যবেক্ষণের যন্ত্র। আমাদের বিষয় বিশেষে অবহিত হইবার শক্তিকে ঠিক ঠিক নিয়মিত করিয়া যখন অন্তর্জগতের দিকে পরিচালিত করা হয়, তখনই উহা মনের প্রত্যেক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিশ্লেষণ করিয়া ফেলিবে এবং তাহার আলোকে আমাদের মনের মধ্যে কি ঘটনা ঘটিতেছে, তাহা ঠিক ঠিক বুঝিতে পারিব। মনের শক্তিসমূহ ইতস্ততোবিক্ষিপ্ত আলোকরশ্মি সদৃশ। উহার কেন্দ্রীভূত হইগেই সমস্ত আলোকিত করে, ইছাই আমাদের সমুদয় জ্ঞানের একমাত্র উপায় । কি বাহজগতে কি অস্তজগতে সকলেই এই শক্তির পরিচালনা করিতেছেন ; তবে বৈজ্ঞানিক বহিজগতে যে স্বল্প পৰ্য্যবেক্ষণশক্তি প্রয়োগ করেন, মনস্তত্ত্বান্বেষীকে তাহাই মনের উপর প্রয়োগ করিতে হইবে। ইহাতে অনেক অভ্যাসের আবশুক করে।, বাল্যকাল হইতে আমরা কেবল বাহিরের বস্তুতেই মনোনিবেশ করিতে শিক্ষিত হইয়াছি, অস্তুজগতে মনোনিবেশ করিতে শিক্ষা পাই নাই। আর এই কারণে