পাতা:রাজযোগ.djvu/২৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগসূত্র ভাবেই প্রতীয়মান হইবে। চৈতন্ত অনুলোম-পরিণাম প্রাপ্ত হইয়া স্থলভূতের আকার ধারণ করে, স্থলভূত আবার বিলোমপরিণাম প্রাপ্ত হইয়া চৈতন্তরূপে পরিণত হয়। সাংখ্য ও সমুদয় ধৰ্ম্মাচাৰ্য্যগণই চৈতন্তকে অগ্রে স্থাপন করেন। তাহাতে ঐ শৃঙ্খল এই আকার ধারণ করে, যথা,—প্রথমে চৈতন্ত, পরে ভূত । বৈজ্ঞানিক প্রথমে ভূতকে গ্রহণ করিয়া বলেন, প্রথমে ভূত, পরে চৈতন্য। কিন্তু এই উভয়েই সেই একই শৃঙ্খলের কথা কহিতেছেন। ভারতীয় দর্শন কিন্তু এই চৈতন্য ও ভূত উভয়েরই উপর গিয়া পুরুষ বা আত্মাকে দেখিতে পান। এই আত্মা জ্ঞানেরও অতীত ; জ্ঞান যেন তাহার নিকট "হইতে প্রাপ্ত আলোকস্বরূপ । s দ্রষ্টা দৃশিমাত্রঃ শুদ্ধোহপি প্রত্যয়ানুপশুঃ ॥ ২০ ॥ সূত্রার্থ।—দ্রষ্টা কেবল চৈতন্য মাত্র ; যদিও তিনি স্বয়ং পবিত্রস্বরূপ, তথাপি বুদ্ধির ভিতর দিয়া তিনি দেখিয়া থাকেন । ব্যাখ্যা । এখানেও সাংখ্যদর্শনের কথা বলা হইতেছে। আমরা পূৰ্ব্বেই দেখিয়াছি, সাংখ্যদর্শনের এই মত যে, অতি ক্ষুদ্র পদার্থ হইতে বুদ্ধি পৰ্য্যস্ত সবই প্রকৃতির অন্তর্গত, কিন্তু পুরুষগণই এই প্রকৃতির বাহিরে, এই পুরুষগণের কোন গুণ নাই। তবে আত্মা দুঃখী বা মুখী বলিয়া প্রতীয়মান হয় কেন ? কেবল বুদ্ধির উপরে প্রতিবিম্বিত হইয়া তিনি ঐ সকল রূপে প্রতীয়মান হয়েন। যেমন এক থও, স্ফটিকের নিকট একটি লাল ফুল রাখিলে ঐ ३२>