পাতা:রাজযোগ.djvu/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ লোকেরই মন শরীরের সম্পূর্ণ অধীন। বাস্তবিক ধরিতে গেলে তাহাদের মনঃশক্তি অতি অল্পপরিমাণেই প্রস্ফুটিত । তোমরা যদি কিছু মনে না কর, তবে বলি, অধিকাংশ মনুষ্কই পশু হইতে অতি অল্পই উন্নত। কারণ, অনেক স্থলে সামান্ত পশুপক্ষী অপেক্ষা তাহাদের সংযমের শক্তি বড় অধিক নহে। আমাদের মনকে নিগ্ৰহ করিবার শক্তি অতি অল্পই আছে। মনের উপর এই ক্ষমতা লাভের জন্ত, শরীর ও মনের উপর ক্ষমতা বিস্তার করিবার জন্ত আমাদের কতকগুলি বহিরঙ্গ সাধনের—দৈহিক সাধনের—প্রয়োজন । শরীর যখন সম্পূর্ণরূপে আয়ত্ত হইবে, তখন মনকে লইয়া নাড়াচাড়া করিবার সময় আসিবে। এইরূপে মন যখন আমাদের অনেকটা বসে আসিবে, তখন আমরা ইচ্ছামত উহাকে কাজ করাইতে ও ইচ্ছামত উহার বৃৰ্ত্তিসমূহকে একমুখী হইতে বাধ্য করিতে পারিব। রাজযোগীর মতে এই সমুদয় বহির্জগৎ, অন্তর্জগৎ বা স্বল্পজগতের স্থল বিকাশ মাত্র । সৰ্ব্বস্থলেই স্বক্ষকে কারণ ও স্থলকে কাৰ্য্য বুঝিতে হইবে । এই নিয়মে বহির্জগৎ কাৰ্য্য ও অন্তর্জগৎ কারণ। এই হিসাবেই স্থল জগতে পরিদৃপ্তমান শক্তিগুলি আভ্যন্তরিক স্বল্পতর শক্তির স্থলভাগ মাত্র । যিনি এই আভ্যন্তরিক শক্তিগুলিকে আবিষ্কার করিয়া উহাদিগকে ইচ্ছামত পরিচালিত করিতে শিখিয়াছেন, • তিনি সমুদয় প্রকৃতিকে বশীভূত করিতে পারেন। যোগী, সমুদয় জগৎকে বশীভূত করা ও সমুদয় প্রকৃতির উপর ক্ষমতা বিস্তার করারূপ স্ববৃহৎ কার্যকে আপন কৰ্ত্তব্য বলিয়া গ্রহণ করেন। তিনি এমন এক অবস্থায় ধাইতে চাহেন, যথায় আমরা যাহাদিগকে “প্রকৃতির নিয়মাবলি" বলি, তাহারা তাহার 38