পাতা:রাজযোগ.djvu/২৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগসূত্র ব্যাখ্যা । যেমন ভূতজয় দ্বারা কায়সম্পৎ লাভ হয়, তদ্রুপ ইক্রিয়সংযমের দ্বারা পূৰ্ব্বোক্ত শক্তিসমুদয় লাভ হইয়া থাকে। সত্ত্বপুরুষান্যতাখ্যাতিমাত্রস্ত সৰ্ব্বভাবাহধিষ্ঠাতৃত্বং সৰ্ব্বজ্ঞাতৃত্বঞ্চ ॥ ৫০ ॥ সূত্রার্থ।—পুরুষ ও বুদ্ধির পরস্পর পার্থক্য-বিজ্ঞানের উপর চিত্তসংযম করিলে সকল বস্তুর উপর অধিষ্ঠাতৃত্ব ও সৰ্ব্বজ্ঞাতৃত্ব লাভ হয়। o o ব্যাখ্যা । যখন আমবা প্রকৃতি জয় করিতে পারি ও পুরুষপ্রকৃতির ভেদ উপলব্ধি করিতে পারি, অর্থাৎ জানিতে পারি যে পুরুষ অবিনাশী, পবিত্র ও পূর্ণস্বরূপ, তখন সৰ্ব্বশক্তিমত্ত ও সৰ্ব্বজ্ঞতা লাভ হয় । তদ্বৈরাগ্যাদপি দোষবীজক্ষযে কৈবল্যম্ ॥ ৫১ ॥ সূত্রার্থ।—এইগুলিকেও ত্যাগ করিতে পারিলে দোষের বীজ ক্ষয় হইয়া যায়, তখনই কৈবল্য লাভ হয়। ব্যাখ্যা। যখন তিনি কৈবল্য লাভ করেন তখন তিনি মুক্ত হইয়া যান। যখন তিনি সৰ্ব্বশক্তিমত্তা ও সৰ্ব্বজ্ঞতা শক্তিদ্বয়ুকেও পরিত্যাগ করেন, তখন তিনি সমুদয় প্রলোভন, এমন কি, দেবগণকৃত প্রলোভনও অতিক্রম করিতে পারেন। যখন যোগী এই সকল অস্তুত ক্ষমতা লাভ করিয়াও উহাদিগকে পরিত্যাগ করেন, তখনই তিনি সেই চরম লক্ষ্যস্থলে উপনীত হন। বাস্তবিক এই শক্তিগুলি কি ? কেবল বিকার মাত্র। স্বপ্ন হইতে २br>