পাতা:রাজযোগ.djvu/২৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগসূত্র সূত্রার্থ।—ক্ষণ ও তাহার পূর্বাপর ভাবগুলির উপর সংযম প্রয়োগ করিলে বিবেকজ জ্ঞান উৎপন্ন হয়। ব্যাখ্যা । এই দেবতা, স্বর্গ ও শক্তিগুলি হইতে রক্ষা পাইবার উপায় কি ? বিবেকবলে যখন সদসৎ বিচারশক্তি হয়, তখনই এই সকল বিঘ্ন চলিয়া যাইবে। এই বিবেকজান দৃঢ় হইতে পারে, এই উদ্দেশ্যে এই সংযমের উপদেশ প্রদত্ত হইল । ক্ষণ অর্থাৎ কালের স্বক্ষতম অংশের এবং উহার পূর্বাপর ভাবগুলির উপর সংযমেব দ্বারা ইহা হইয় থাকে । জাতিলক্ষণদেশেরন্যতানবচ্ছেদাত্ত ল্যয়োস্ততঃ প্রতিপত্তিঃ ॥ ৫৪ ॥ সূত্রার্থ।—জাতি, লক্ষণ ও দেশ দ্বারা যাহাদিগের পার্থক্যনিশ্চয় করিতে না পারার জন্য তুল্য বোধ হয়, তাহাদিগকেও ঐ পূৰ্ব্বোক্ত সংযমের দ্বারা পৃথক করিয়া জানা যাইতে পারে। ব্যাখ্যা । আমরা যে দুঃখভোগ করি, তাহা সত্য ও অসত্যের মধ্যে পার্থক্যদৃষ্টির অভাবরূপ অজ্ঞান হইতে উৎপন্ন হইয়া থাকে। আমরা সকলেই মন্দকে ভাল বলিয়া ও স্বপ্নকে সত্য বলিয়া গ্রহণ কবি । আত্মাই একমাত্র সত্য, আমরা উহ। বিশ্বত হইয়াছি। শক্ট্রর মিথ্যা স্বপ্নমাত্র ; আমরা ভাবি, আমরা শরীর । সুতরাং দেখা গেল, এই অবিবেকই দুঃখের কারণ। এই অবিবেক আবার অবিদ্যা হইতে প্রস্থত হয় । বিবেক আসিলেই তাহার • সঙ্গে সঙ্গেই বলও আইসে, তখনই আমরা এই শরীর, sv○ प्र.