পাতা:রাজযোগ.djvu/৩০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায় কৈবল্য-পাদ জন্মৌষধিমন্ত্রতপঃ-সমাধিজাঃ সিদ্ধয়ঃ ॥ ১ ॥ সূত্রার্থ।—সিদ্ধিসমূহ জন্ম, ঔষধ, মন্ত্র, তপস্যা ও সমাধি হইতে উৎপন্ন হয়। ব্যাখ্যা। কখনও কখনও মানুষ পূৰ্ব্বজন্মলন্ধ সিদ্ধি লইয়া জন্মগ্রহণ করে । সে জন্মে সে যেন তাহদের ফলভোগ করিতেই আইসে। সাংখ্যদর্শনের পিতৃস্বরূপ কপিলসম্বন্ধে কথিত আছে যে, তিনি সিদ্ধ হইয়া জন্মিয়াছিলেন। ‘সিদ্ধ’ এই শব্দের অর্থ—ধিনি কৃতকাৰ্য্য হইয়াছেন। যোগীরা বলেন, রসায়নবিদ্যা অর্থাৎ ঔষধাদি দ্বারা এই সকল শক্তি লব্ধ হইতে পাবে। তোমরা সকলেই জান যে, রসায়নবিদ্যার প্রারম্ভ আলকেমি * হইতে। মানুষ পরশ-পাথর Philosopher's stone), Hârzăl Ass (Elixir of life ) ইত্যাদির অন্বেষণ করিত। ভারতবর্ষে রসায়ন নামে এক সম্প্রদায় ছিল। তাহদের এই মত ছিল যে, সূক্ষ্মতত্ত্বপ্রিয়তা,

  • আলকেমি-তামা, প্রভৃতি নিমারের ধাতু হইতে সোণা রূপ প্রভৃতি করিবার বিদ্যা। পূর্বে ইউরোপে গুপ্তভাবে এই বিদ্যার খুব চর্চা ছিল। সঞ্জীবনী অমৃত অর্থে এক প্রকার কাল্পনিক রস যদ্বারা মানব অমর হইতে পারে।

3Ե Պ