পাতা:রাজযোগ.djvu/৩০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ জ্ঞান, আধ্যাত্মিকতা, ধৰ্ম্ম, এ সকলগুলিই সত্য (ভাল ) বটে, কিন্তু এইগুলিকে লাভ করিবার একমাত্র উপায় এই শরীর। যাঁ মধ্যে মধ্যে শরীর ভগ্ন আর্থাৎ মৃত্যুগ্রস্ত হয়, তবে ঐ কারণে সেই চরমলক্ষ্যে পহুছিতে কতকটা অধিক সময় লাগিবে। মনে কর, কোন ব্যক্তি যোগ অভ্যাস করিতে অথবা অত্যধিক আধ্যাত্মিকভাবসম্পন্ন হইতে ইচ্ছুক। কিন্তু অধিকদূর উন্নতি করিতে না করিতেই তাহার মৃত্যু হইল। তখন সে আর এক দেহ লইয়া পুনরায় সাধন করিতে আরম্ভ করিল, পরে তাহার মৃত্যু হইল, এইরূপে পুনঃপুনঃ জন্মগ্রহণ ও মৃত্যুতেই তাহার অধিকাংশ সময় নষ্ট হইয়া গেল। যদি শবীরকে এতদুর সবল ও নির্দোষ করিতে পারা যায় যে, উহার জন্মমৃত্যু একেবারে বন্ধ হইয়া যায়, তাহা হইলে আধ্যাত্মিক উন্নতি করিবার অনেক সময় পাওয়া যাইবে । এই কারণে এই রসায়নের বলিয়া থাকেন, *প্রথমে শরীরকে সবল কর । তাহারা বলেন যে, শরীরকে অমর করা যাইতে পারে। ইহাদের মনের ভাব এই যে, শরীর গঠন করিবার কৰ্ত্তা যদি মন হয়, আর ইহা যদি সত্য হয় যে, প্রত্যেক ব্যক্তির মন সেই অনন্ত শক্তিপ্রকাশের এক একটি বিশেষ প্রণালীমাত্র তবে , এইরূপ প্রত্যেক প্রণালীর বাহির হইতে যথেচ্ছ শক্তিসংগ্ৰহ করিবার কোন সীমা নির্দিষ্ট হইতে পারে না । সুতরাং আমরা চিরকাল ধরিয়া এই শরীরকে রাখিতে পারিব না কেন ? যত শরীর আমরা ধারণ করি, সমুদয়ই আমাদিগকেই গঠন করিতে হয়। যে মুহূর্তে এই শরীরে পতন হইবে, তত্ত্বে আবার আমাদিগকে আর ー&brb"