পাতা:রাজযোগ.djvu/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ ডেলসার্ট ও অন্তান্ত ব্যায়ামাচাৰ্য্যগণের গ্রন্থে দেখিতে পাওয়া যায়। উহঁরাও শরীরকে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে রাখিবার ব্যবস্থা করিয়াছেন কিন্তু হঠযোগের স্কার উহারও উদেশু, দৈহিক-আধ্যাত্মিক উন্নতি নহে । শরীরের এমন কোন পেশী নাই, যাহা হঠযোগী নিজ বশে আনিতে না পারেন ; হৃদয়যন্ত্র তাহার ইচ্ছামত বদ্ধ অথবা চালিত হইতে পারে—শরীরের সমুদয় অংশই তিনি ইচ্ছাক্রমে পরিচালিত করিতে পারেন। - মানুষ কিসে দীর্ঘজীবী হইতে পারে, ইহাই হঠযোগের একমাত্র উদ্দেশু। কিসে শরীর সম্পূর্ণ সুস্থ থাকে, ইহাই হঠযোগীদিগের একমাত্র লক্ষ্য। "আমার যেন পীড়া না হয়, হঠযোগীর এই দৃঢ়সঙ্কল্প ; এই দৃঢ়সঙ্কল্পের জন্য র্তাহার পীড়াও হয় না ; তিনি দীর্ঘজীবী হইতে পারেন ; শতবর্ষ জীবিত থাকা তাহার পক্ষে অতি তুচ্ছ কথা । দেড়শত বৎসর বয়স হইয়া গেলেও দেখিবে, তিনি পূর্ণ যুবা ও সতেজ রহিয়াছেন, তাহার একটি কেশও শুভ্ৰ হয় নাই । কিন্তু ইহার ফল এই পৰ্য্যন্তই। বটবৃক্ষও কখন কখন পাচ হাজার বৎসর জীবিত থাকে, কিন্তু উহা যে বটবৃক্ষ সেই বটবৃক্ষই থাকে। তিনিও না হয় তদ্রুপ দীর্ঘজীবী হইলেন, তাহাতে কি ফল ? তিনি না হয় খুব মুস্থকার জীব, এইমাত্র। হঠযোগীদের তুই একটি সাধারণ উপদেশ বড় উপকারী ; শিরঃপীড়া হইলে, नग्न श्रेड़ উঠিয়াই নাসিক দিয়া শীতল জল পান করবে, তাই হইলে মন্ত দিনই তোমার মস্তিষ্ক অতিশয় শীত থাকিবে, তোমার কখনই দিলাগবে না। নাসিক দিয়া জল গান করা কিছু কটন ন, অতি সহজ। নাসিকা জলের ভিতর ডুবাইর গলার ভিতর २१