পাতা:রাজযোগ.djvu/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ কয়েক মাস ধরিয়া মৃত্তিকাভ্যস্তরে বাস করিতে পারেন। তাহাতেও র্তাহীদের দেহনাশ হয় না। কিন্তু সাধারণ লোকের পক্ষে, দেহে যত গতি আছে, তাহার মধ্যে ইহাই প্রধান দৈহিক গতি । সুন্নতর শক্তির কাছে যাইতে হইলে স্থলতর শক্তির সাহায্য লইতে হয় । এইরূপে ক্রমশঃ স্বাক্ষাৎ সূক্ষ্মতর শক্তিতে গমন করিতে করিতে শেষে আমাদের চরম লক্ষ্যে উপস্থিত হই। শরীরে ষত প্রকার ক্রিয়া আছে, তন্মধ্যে ফুসফুসের ক্রিয়াই অতি সহজ প্রত্যক্ষ । উহা যেন যন্ত্রমধ্যস্থ গতিনিয়ামক চক্রস্বরূপে অপর শক্তিগুলিকে চালাইতেছে। প্রাণায়ামের প্রকৃত অর্থ— ফুসফুসের এই গতিবোধ করা ; এই গতিব সহিত শ্বাসেরও অতি নিকট সম্বন্ধ। শ্বাস প্রশ্বাস যে এই গতি উৎপাদন করিতেছে তাহা নয়, বরং উহাই শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি উৎপাদন করিতেছে। এই বেগই, উত্তোলন-যন্ত্রের মত, বায়ুকে ভিতর দিকে আকর্ষণ করিতেছে। প্রাণ এই ফুসফুসকে চালিত করিতেছে। এই ফুসফুসের গতি আবার বায়ুকে আকর্ষণ করিতেছে। তাহ হইলেই বুঝা গেল, প্রাণায়াম শ্বাসপ্রশ্বাসের ক্রিয়া নহে। যেপৈশিক-শক্তি ফুসফুসকে সঞ্চালন করিতেছে-তাহাকে বশে আনাই প্রাণায়াম। যে শক্তি স্বায়ুমণ্ডলীব ভিতর দিরা মাংসপেশীগুলির নিকট যাইতেছে ও যাহা ফুসফুসকে সঞ্চালন করিতেছে, তাহাই প্রাণ; প্রাণারামসাধনে আমাদিগকে উহাই বশে আনিতে হইবে। যখনই প্রাণজয় হইবে, তখনই আমরা দেখিতে পাইব, শরীরের মধ্যে প্রাণের অস্তান্ত সমুদয় ক্রিয়াই আমাদের আয়ত্তধীনে আসিয়াছে । আমি নিজেই এমন লোক দেখিয়াছি, র্যাহার ge