পাতা:রাজযোগ.djvu/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাণ রছিয়াছে। কিন্তু এই সমুদ্ৰয়ের পশ্চাতে এক অনন্ত মহাসমুদ্র । একদিকে ঐ ক্ষুদ্র বুদ্ধ,দটি অনন্ত সমুদ্রের সহিত সংযুক্ত, আবার সেই বৃহৎ তরঙ্গটিও সেই মহাসমুদ্রের সহিত সংযুক্ত। এইরূপ সংসারে কেহ বা মহাপুরুধ কেহ বা ক্ষুদ্র জলবুদ্ধাতুল্য সামান্ত ব্যক্তি হইতে পারেন, কিন্তু সকলেই সেই অনন্ত মহাশক্তিসমুদ্রের সহিত সংযুক্ত। এই মহাশক্তির সহিত জীবমাত্রেরই জন্মগত সম্বন্ধ। যেখানেই জীবনী শক্তির প্রকাশ দেখিবে, সেখানেই বুঝিতে হইবে, পশ্চাতে অনন্ত শক্তির ভাণ্ডার রহিয়াছে। একটি ক্ষুদ্র বেঙের ছাতা রহিয়াছে, উঃ হয়ত এত ক্ষুদ্র ও এত স্বল্প যে অণু বীক্ষণযন্ত্র দ্বারা উহ। দেখিতে হয় ; তাহা হইতে আরম্ভ কর, দেখিবে, সেটি অনন্ত শক্তির ভাণ্ডার হইতে ক্রমশঃ শক্তিসংগ্ৰহ করিয়া আর এক আকার ধারণ করিতেছে। কালে উহা উদ্ভিদৰূপে পরিণত হইল, উহাই আবার একটি পশুর আকার ধরিল, পরে মচুন্যরূপ ধারণ করিয়া অবশেষে উহাই ঈশ্বররুপে পরিণত হয়। অবশ্য প্রাকৃতিক নিয়মে এই ব্যাপার ঘটিতে লক্ষ লক্ষ বর্ষ অতীত হয় । কিন্তু এই সময় কি ? সাধনার বেগ বৃদ্ধি করিয়া দিলে অনেক সময়ের সংক্ষেপ হইতে পারে। যোগীরা বলেন, "যে কাধ্যে সাধারণ চেষ্টায় অধিক সময় লাগে, তাহাই কার্য্যের বেগ বৃদ্ধি করিয়া দিলে অতি অল্প সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হইতে পারে। মানুষ এই জগতের শক্তিরাশি হইতে অতি অল্প অল্প করিয়া শক্তি সংগ্ৰহ, করিয়া চলিতে পালে। এমন ভাবে চলিলে একজনের দেৰজন্ম লাভ করিতে হয় ত লক্ষ বৎসর লাগিল। আর ও উচ্চবস্থা.প্রাপ্ত হইতে হয়ত পাঁচ লক্ষ বৎসর লাগিল। আবার পূর্ণ ¢ፄ