রাজযোগ তাহারা ঐরূপ আলোকেও দেখিতে পায়। আবার যদি আলোকের পরমাণুগুলির কম্পন অতি মৃত্যু হয়, তাহা হইলেও উহা আমরা দেখিতে পাই না, কিন্তু পেচক বিড়ালাদি জন্তগণ উছ দেখিতে পায়। আমাদের দৃষ্টি এই প্রাণ-কম্পনের প্রকার-বিশেষই প্রত্যক্ষ করিতে সমর্থ। অথবা বায়ুরাশির কথা ধর। বায়ু করে স্তরে যেন সজ্জিত রচিয়াছে। এক স্তরের উপর আর এক স্তব বায়ু স্থাপিত। পৃথিবীর নিকটবৰ্ত্তী যে স্তর তাহা তদূৰ্দ্ধস্থ স্তর হইতে অধিক ঘন, আরও উৰ্দ্ধদেশে যাইলে দেখিতে পাওয়া যাইবে, বায়ু ক্রমশঃ তরল হইতেছে। অথবা সমুদ্রের বিষয় ধর ; সমুদ্রের যন্তই গভীর হইতে গভীরতর প্রদেশে যাইবে, জলের চাপ ততই বৰ্দ্ধিত হইবে। যে সকল জন্তু সমুদ্রতলে বাস করে, তাহারা উপরে কখনই আসিতে পারে না । কারণ, আসিলেই তাহারা তৎক্ষণাৎ মৃত্যু-গ্রাসে পতিত হয়। সমুদয় জগৎকে ‘ইথারেব একটি সমুদ্ররূপে চিন্তা কর । প্রাণের শক্তিতে যেন উহা স্পদিত হইতেছে, স্পদিত হইয়া যেন স্তরে স্তরে বিভিন্নরূপে অবস্থিত হইল। তাহা হইলে দেখিবে, ষে স্থান হইতে স্পন্দন আরম্ভ হইয়াছে, তাহা হইতে যতদুর যাওয়: যাইতেছে, ততই যেন সেই স্পন্ন মৃত্নভাবে অনুভূত হইতেছে। কেজের নিকট স্পন্ন অতি দ্রুত। আরও মনে কর যে, এই এক এক প্রকারের স্পন্দন এক একটি স্তর। এই সমুদয় স্পন্দনক্ষেত্রকে একটি বৃত্তৰূপে কল্পনা কন্ন ; সিদ্ধি উহার কেন্দ্রস্বরূপ ; ঐ কেন্দ্র হইতে যতদূরে যাওয়া যাইবে, স্পন্ন ততই মৃদ্ধ হইয়া জ্ঞাসিৰে। ভূত সৰ্ব্বাপেক্ষ বহিঃস্তর, মন তাহা হইতে নিকটবৰ্ত্তী Վ9e