পাতা:রাজযোগ.djvu/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

et예 স্তর, আর আত্মা যেন কেন্দ্রস্বরূপ । এইরূপ ভাবে চিন্তা করিলে দেখা যাইবে যে, যাহার এক স্তরে বাস করে, তাহারা পরস্পর পরম্পরকে চিনিতে পারিবে, কিন্তু তদপেক্ষা নিম্ন বা উচ্চ স্তরের জীবদিগকে চিনিতে পারিবে না। তথাপি, যেমন আমরা অণুবীক্ষণ ও দূরবীক্ষণ যন্ত্রসহকারে আমাদের দৃষ্টির ক্ষেত্র বাড়াইতে পারি, তদ্রুপ আমরা মনকে বিভিন্ন প্রকার স্পন্ন-বিশিষ্ট করিয়া অপর স্তরের সংবাদ অর্থাৎ তথায় কি হইতেছে জানিতে পারি। মনে কর, এই গৃহেই এমন কতকগুলি প্রাণী আছে, যাহারা আমদের দৃষ্টির বহির্ভূত। তাহারা প্রাণের এক প্লকার স্পন্দন ও আমার আর এক প্রকার স্পননের ফলস্বরূপ । মনে কর তাহার অধিক স্পন্দন-বিশিষ্ট ও আমরা অপেক্ষাকৃত অল্প স্পন্দনশীল । আমরাও প্রাণস্বরূপ মূলবস্তু হইতে গঠিত, তাহারাও তাঁহাই, সকলেই এক সমুদ্রেরই বিভিন্ন অংশ মাত্র। তবে বিভিন্নত কেবল স্পন্দনের। যদি মনকে এখনি অধিক স্পনানবিশিষ্ট করিতে পারি, তবে আমি আর এই স্তরে অবস্থিত থাকিব না, আমি আর তোমাদিগকে দেখিতে পাইব না ; তোমরা আমার সম্মুখ হইতে অন্তৰ্হিত হইবে ও তাহারা আবিভূত হইবে। তোমাদের মধ্যে অনেকেই বোধ হয় জান যে, এই ব্যাপারট সত্য। মনকে এই উচ্চ হইতে উচ্চতর স্পন্নবিশিষ্ট করাকেই যোগশাস্ত্রে ‘সমাধি’_এই একমাত্র শব্দের দ্বারা লক্ষ্য করা হুইয়াছে। আর এই সমাধির নিম্নতর অবস্থাগুলিতেই এই অতীন্ত্রির প্রাণিসমূহকে প্রত্যক্ষ করা যায়- সমাধির সৰ্ব্বোচ্চ অবস্থায় আমাদের সত্যস্বরূপ ব্ৰহ্মদর্শন হয়। তখন আমরা যে উপাদান হইতে এই সমুদয় বহুবিধ và