পাতা:রাজযোগ.djvu/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাণের আধ্যাত্মিক রূপ আমাদের আরও জানা উচিত যে, সমুদয় চক্রের মধ্যে সৰ্ব্বনিম্নস্থ মূলtধার, মস্তকস্থ সহস্রদল-পদ্ম ও নাভিদেশে অবস্থিত মণিপুর চক্র এই কয়েকটির কথা মনে রাখা বিশেষ আবশুক । এইবার পদার্থবিজ্ঞানের একটি তত্ত্ব আমাদিগকে বুঝিতে হইবে। আমরা সকলেই তাড়িত ও তৎসম্পৃক্ত অস্তান্ত বহুবিধ শক্তির কথা শুনিয়াছি। তাড়িত কি, তাহ কেহই জানে ন', তবে আমরা এই পৰ্য্যন্ত জানি যে, তড়িত এক প্রকার গতিবিশেষ । জগতে অম্লান্ত নানাবিধ গতি আছে, তাড়িতের তি উহাদের প্রভেদ কি ? মনে কর, একটি টেবিল সঞ্চালুত হইতেছে-- উহার পবমাণুগুলি বিভিন্ন দিকে সঞ্চালিত হইতেছে। যদি উহাদিগকে অনবরত একদিকে সঞ্চালিত করা যায়, তাহা হইলে তাহাই বিদ্যুচ্ছক্তি-রূপে পরিণত হইবে। সমুদয় পরামাণুগুলি একদিকে গতিশীল হইলে, তাহাকেই বৈদ্যুতিক গতি বলে । এই গৃহে যে বায়ুবাশি রহিয়াছে, তাহার সমুদয় পরমাণুগুলিকে যদি ক্রমাগত একদিকে সঞ্চালিত করা যায়, তাহা হইলে উহা এক মহা বিঘ্যদাধার-যন্ত্র (Battery) রূপে পবিণত হইবে। এইবার শরীর-বিধান-শস্ত্রের একটি কথা আমাদিগকে স্মরণ করিতে হইবে। তাহা এই—যে মায়ুকেন্দ্র শ্বাসপ্রশ্বাসযন্ত্রগুলিকে। নিয়মিত করে, সমুদয় মায়ুপ্রবাহগুলির উপরও তাহার একটু প্রভাব আছে ; ঐ কেন্দ্র বক্ষোদেশের ঠিক বিপরীত ਜਿੱ) মেরুদণ্ডে অবস্থিত। উহা এাসপ্রশ্বাসগুলিকে নিয়মিত করে এবং অন্যান্য যে সকল স্নায়ুচক্র আছে, তাছাদের উপরেও কিঞ্চিৎ প্রভাব ব্রিস্তার করে ।