পাতা:রাজযোগ.djvu/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ এইবার আমরা প্রাণায়াম-ক্রিয়া-সাধনের কারণ বুঝিতে পারিব। প্রথমতঃ, যদি নিয়মিত শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি উথাপিত করা যায়, তাহা হইলে শরীরেব সমুদয় পরমাণুগুলিরই একদিকে গতি হইবার উপক্রম হইবে । যখন নানদিকগামী মন নানাদিকে না গিয়া একমুখী হইয়া একটি দৃঢ় ইচ্ছাশক্তিরূপে পরিণত হয়, তখন সমুদয় স্নায়ুপ্রবাহও পরিবর্তিত হইয়া এক প্রকাব বিহ্যদ্বৎ গতি প্রাপ্ত হয়, কারণ, স্বায়ুগুলির উপর তাড়িত ক্রিয় কবিলে উহাদের উভয় প্রাস্তে বিপরীত শক্তিদ্বয়ের উদ্ভব হয় দেখা গিয়াছে। ইহাতেই বোধ হয় যে, যখন ইচ্ছাশক্তি স্নাযুপ্রবাহরূপে পরিণত হয়, তখন উহা ছিদ্ধং কোন পদার্থের আকার ধাবণ করে। যখন শরীরস্থ সমুদয় গতিগুলি সম্পূর্ণ একাভিমুখী হয়, তখন উহা যেন ইচ্ছাশক্তির একটি প্রবল বিদ্যুদtধাবস্বরূপ (battery) হইয়া পড়ে। এই প্রবল ইচ্ছাশক্তি লাভ করাই ধোগীব উদ্দেশু। প্রাণায়াম ক্রিয়াটি এইরূপে শারীল-বিধান-শাস্ত্রের সাহায্যে ব্যাখ্যা করা যাইতে পারে। উহা শরীরের মধ্যে এক প্রকার একাভিমুখী গতি উৎপাদন করে ও শ্বাস-প্রশ্বাসকেন্দ্রেব উপর আধিপত্য বিস্তার করিয়া শরীরস্থ অন্তান্ত কেন্দ্রগুলিকেও বশে আনিতে সাহায্য করে । এস্থলে প্রাণায়ামের_লক্ষ্য—মূলাধারে কুণ্ডলাকারে_অবস্থিত दु७गिनो डिब्ब उत्व|दन क्त। আমরা যাহা কিছু দেখি, কল্পনা করি অথবা যে কোন স্বপ্ন দেখি, সমুদয়ই আমাদিগকে আকাশে অনুভব কবিতে হয়। এই পরিদৃশুমান আকাশ, যাহা সাধারণতঃ দেখা যায়, তাহার নাম মহাকাশ । যোগী যখন অপরের মনোভাব প্রত্যক্ষ করেন বা