পাতা:রাজযোগ.djvu/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাণের আধ্যাত্মিক রূপ কারণসমূহের যথার্থ স্বরূপজ্ঞান হইবে, সুতরাং তখনই আমাদের সৰ্ব্ববিষয়ের পূর্ণ জ্ঞান লাভ হইবে । কারণ জানিতে পারিলেই কার্য্যের জ্ঞান নিশ্চিত আসিবেই আসিবে । এইরূপে দেখা গেল যে, কুণ্ডলিনীকে চৈতন্ত করাষ্ট তত্ত্ব জ্ঞান, জ্ঞানাতীত অনুভূতি বা আত্মামুভূতির একমাত্র উপায়। কুণ্ড লিনীকে চৈতন্য করিবার অনেক উপায় আছে । কাহার ও কেবল মাত্র ভগবৎপ্রেমবলে কুণ্ডলিনীব চৈতন্ত হয়। কাহাবও বা সিদ্ধ মহাপুরুষগণেব কৃপায় উৎ ঘটয়া থাকে, কাহাবও বা স্বক্ষ জ্ঞান বিচার দ্বাবা কুণ্ডলিনীব চৈতন্য হইয়া থাকে। . লোকে যাহাকে আগৌকিক শক্তি বা জ্ঞান বলিয় থাকে, যখনই কোথাও তাহার কিযুৎপবিমাণে প্রকাশ দেখা যায, তখনই বুঝিতে হইবে যে, কিঞ্চিৎ পরিমাণে এই কুণ্ডলিনী শক্তি কোন মতে সুষুম্নাল ভিতব প্রবেশ কবিয়াছে। তবে এরূপ অলৌকিক ঘটনাগুলিব অধিকাংশ স্থলেই দেখা যাইবে যে, সেই ব্যক্তি না জানিয৷ হঠাৎ এমন কোন সাধন কবিয়া ফেলিযাছে যে, তাহীতে তাহাব অজ্ঞাতসাবে কুণ্ডলিনীশক্তি কিয়ৎপবিমাণে স্বতন্ত্র হইয়া স্বযুম্নাথ প্রবেশ কবিয়াছে। যে কোন প্রকাবের উপাসনাই হউক, অজ্ঞাতসাবে অথবা অজ্ঞাতভাবে সেই একই লক্ষ্যে পহুছিয়া দেয়, অর্থাৎ তাহাতে কুণ্ডলিনীর চৈতন্য হয়। যিনি মনে কবেন, আমি আমার প্রার্থনীর উত্তর পাইলাম, তিনি জানেন না যে, প্রার্থনা-রূপ-মনোবৃত্তি-বিশেষেব দ্বারা তিনি র্ত্যহাবই দেহস্থিত অনন্ত শক্তির- এক, বিন্দুকে জাগরিত কবিতে সমর্থ হইয়াছেন। সুতরাং মানুষ না জানিয়া যাহাকে নানা নামে, ভয়ে, কষ্টে উপাসন কবে, র্তাহার নিকট কি করিয়া অগ্রসর হইতে হয় >