পাতা:রাজযোগ.djvu/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ তথাপি উহা মেরুদণ্ডে সংলগ্ন নহে। বক্র হইয়া বসিলে, উহ। বিপৰ্য্যস্ত হইয় পড়ে। অতএব দেখিতে হইবে, উহা যেন স্বচ্ছনভাবে থাকে। বক্র হইয়া বসিয়া ধ্যান করিবার চেষ্টা করিলে নিজের ক্ষতি হয়। শরীবের তিনটি ভাগ, যথা—বক্ষোদেশ, গ্রীব! ও মস্তক, সৰ্ব্বদা এক রেখায় ঠিক সবলভাবে রাখিতে হইবে। দেখিবে, অতি অল্প অভ্যাসে উহা শ্বাস-প্রশ্বাসের স্তায় সহজ হইয়া যাইবে। তৎপরে স্নাযুগুলিকে বশীভূত করিবার চেষ্টা কবিতে ইষ্টবে। আমবা পূর্বেই দেখিয়াছি, যে স্নায়ু-কেন্দ্র শ্বাস-প্রশ্বাস যন্ত্রেব কাৰ্য্য নিয়মিত কবে, অপরাপৰ স্নাযুগুলিব উপলও তাহাব কতকটা প্রভাব আছে। এইজন্তই শ্বাসগ্রহণ ও ত্যাগ তালে তালে (rhythmical) কব আবশ্যক। আমবা সচবাচব যে ভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস গ্রহণ বা ত্যাগ কবি, তাহ শ্বাস-প্রশ্বাস নামেব যোগ্যই হইতে পাবে না, উহা এত অনিয়মিত । আবাব স্ত্রীপুরুষেব ভিতরে শ্বাস-প্রশ্বাসেব একটু স্বাভাবিক প্রভেদ আছে। প্রাণায়াম-সাধনের প্রথম ক্রিয়া এই ভিতবে নিদিষ্ট পরিমাণে শ্বাস গ্রহণ কর ও বাহিরে নির্দিষ্ট পবিমাণে প্রশ্বাস ত্যাগ কর । এইরূপ কৰিলে দেহযন্ত্রটির অসামঞ্জস্ত ভাব বিদূরিত হইবে। কিছুদিন ইহা অভ্যাস করিবার পর, এই শ্বাস গ্রহণ ও ত্যাগের সময় ওঙ্কার অথবা অন্স কোন পবিত্র শব্দ মনে মনে উচ্চারণ করিলে ভাল হয়। ভারতেব প্রাণায়ামের শ্বাসগ্রহণ ও ত্যাগের সংথ্য নিরূপণ করিবার জন্য এক, দুই, তিন, চারি এই ক্রমে গণনা না করিয়া আমরা কতকগুলি সাঙ্কেতিক শব্দ ব্যবহার করি থাকি। এই জন্তই আমি প্রাণায়ামের সময় ওঙ্কাবু অথবা