পাতা:রাজযোগ.djvu/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ হইবে না, তোমার মনই তোমার নিকট অনন্ত-জ্ঞান-বিশিষ্ট পুস্তকের কাৰ্য্য করিবে। আমি পূৰ্ব্বেই মেরুদণ্ডেব উভয় পাশ্ব দিয়া প্রবাহিত ইড়া ও পিঙ্গলু নামক দুইটি শক্তিপ্রবাহেব কথা উল্লেখ কবিয়াছি, আর মেকমজ্জার মধ্যদেশস্বরূপ স্বযুদ্রাব কথাও পূৰ্ব্বেই বলা হইয়াছে। এই ইড়া, পিঙ্গল, সুষুম্ন প্রত্যেক প্রাণীতেই বিরাজিত। যাহাদেরই মেরুদণ্ড আছে, তাহাদেরই ভিতবে এই তিন প্রকাব ভিন্ন ভিন্ন ক্রিয়ার প্রণালী আছে। তবে যোগীব বলেন, সাধারণ জীবের এই স্বযুদ্রা বদ্ধ থাকে, ইহাব ভিতরে কোনরূপ ক্রিয়া অনুভব করা যায় না, কিন্তু ইড়া ও পিঙ্গল নাড়াদ্বয়ের কার্য্য অর্থাৎ শরীরেব বিভিন্ন প্রদেশে শক্তিবহন করা, তাহ সকল প্রাণীতেই C3 이t 1 কেবল যোগীরই এই সুষুম্ন উন্মুক্ত থাকে স্বযুম্নাদ্ধাব খুলিয়া গিয়া তাহার মধ্য দিয়া স্নায়ুবীয় শক্তিপ্রবাহ যখন উপরে উঠিতে থাকে, তখন চিত্তও উচ্চতর ভূমিতে উঠিতে থাকে, তখন আমরা অতীন্দ্রিয় রাজ্যে চলিয়া যাই। আমাদের মন তখন অতীন্দ্ৰিয়, জ্ঞানাতীত, পূর্ণ চৈতন্য ইত্যাদি নামধেয় অবস্থা লাভ কবে। তখন আমরা বুদ্ধির অতীত প্রদেশে চলিয় ঘাই, তখন আমরা এমন একস্থানে চলিয়া যাই যেখানে তর্ক পহুছিতে পারে না। এই স্বযুদ্ধাকে উন্মুক্ত করাই যোগীর একমাত্র উদ্দেশু। পূৰ্ব্বে যে সকল শক্তিবহনকেন্দ্রের কথা উল্লিখিত হইয়াছে, যোগীদিগের মতে তাহারা স্বষুন্নার মধ্যেই অবস্থিত। রূপক ভাষায়ু উহাদিগকেই পদ্ম বলে ; পদ্মগুলির মধ্যে সকলের নিম্নদেশন্থটি স্বযুদ্ধার সর্ব নিম্নভাগে অঃি। উহার নাম (১ম) মূলাধার, তৎপরে (২য়) স্বাধিষ্ঠান, ፄw