পাতা:রাজযোগ.djvu/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজযোগ মানুষের মধ্যে যে শক্তি কামক্রিয়া, কামচিন্তা ইত্যাদিরূপে প্রকাশ পাইতেছে, তাহা দমিত হইলে সহজেই ওজোধাতুরূপে পরিণত হইয়া যায়। আর আমাদের শরীরস্থ সৰ্ব্বাপেক্ষা নিম্নতম কেন্দ্রটি এই শক্তির নিয়ামক বলিয়া যোগীরা উহার প্রতিই বিশেষ লক্ষ্য করেন । র্তাহীদের ইচ্ছা এই যে সমুদয় কামশক্তিটিকে লইয়া ওজোধাতুতে পরিণত করেন। কামজী নর-নাবীই কেবল এই ওজোধাতুকে মস্তিষ্কে সঞ্চিত করিতে সমর্থ হন। এই জন্তই সৰ্ব্বদেশে ব্রহ্মচর্ষ্য সর্বশ্রেষ্ঠ ধৰ্ম্মরূপে পরিগণিত হইয়াছে। মানুষ সহজেই দেখিতে পায় যে, কামকে প্রশ্রয় দিলে সমুদয় ধৰ্ম্মভাব, চরিত্রবল ও মানসিক তেজঃ—সবই চলিয়া যায়। এই কারণেই দেখিতে পাইবে, জগতে যে যে ধৰ্ম্মসম্প্রদায় হইতে বড় বড় ধৰ্ম্মবীর জন্মিয়াছেন, সেই সেই সম্প্রদারই ব্রহ্মচৰ্য্য সম্বন্ধে ৰিশেষ জোর দিয়াছেন। এই জন্যই বিবাহত্যাগী সন্ন্যাসিদলেব উৎপত্তি হইয়াছে। এই ব্রহ্মচৰ্য্য পূর্ণভাবে কায়মনোবাক্যে অনুষ্ঠান কব নিতান্ত কৰ্ত্তব্য। ব্রহ্মচৰ্য্যশূন্ত হইয়া রাজযোগসাধন বড় বিপৎ,সম্বুল ; কারণ, উহাতে শেষে মস্তিষ্কের বিষম বিকার জন্মাইতে পারে। যদি কেহ রাজযোগ অভ্যাস করে, অথচ অপবিত্র জীবন যাপন করে, সে কিরূপে যোগী হইবার আশা করিতে পারে ? & b e