পাতা:রাজা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> 。 সুদৰ্শনা ও সুরঙ্গমা মুদৰ্শন । যুদ্ধ তো শেষ হয়ে গেল। এখন আমার রাজা আসবেন কখন ? I 遍 সুরঙ্গমা । তা তো বলতে পারি নে— পথ চেয়ে বসে আছি । সুদৰ্শন । সুরঙ্গমা, বুকের ভিতরটাতে আনন্দে এমন কাপছে যে বেদনা বোধ হচ্ছে । লজ্জাতেও মরে যাচ্ছি— মুখ দেখাব কেমন করে ! সুরঙ্গমা । এবার একেবারে হার মেনে তার কাছে যাও, তা হলে আর লজ্জা থাকবে না। সুদৰ্শন। স্বীকার তো করতেই হরে চিরদিনের মতো আমার হার হয়ে গেছে— কিন্তু এতদিন গর্ব করে তার কাছে সকলের চেয়ে বেশি আদরের দাবি করে এসেছি কিনা, সেটা একেবারে ছেড়ে দিতে পারছি নে। সবাই যে বলত আমার অনেক রূপ, অনেক গুণ, সবাই যে বলত আমার উপরে রাজার অনুগ্রহের অস্ত নেই— সেইজন্তেই তো সকলের সামনে আমার হৃদয় নত হতে এত লজ্জা বোধ করছে। সুরঙ্গমা। অভিমান না ঘুচলে তো লজ্জাও ঘুঢ়বে না। সুদৰ্শন । তার কাছ থেকে আদর পাবার ইচ্ছা যে কিছুতে মন থেকে ঘুচতে চায় না। স্বরঙ্গমা। সব ঘুঢ়বে রানীমা ! কেবল একটি ইচ্ছা থাকবে, নিজেকে নিবেদন করবার ইচ্ছা । সুদৰ্শনা । সেই আঁধার ঘরের ইচ্ছা— দেখা নয়, শোনা নয়, চাওয়া নয়, কেবল গভীরের মধ্যে আপনাকে ছেড়ে দেওয়া । মুরঙ্গমা, সেই আশীৰ্বাদ কর যেন—