পাতা:রাজা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বুঝি ভালো হল ? বলে তো ভাই কৌণ্ডিল্য, খোলা রাস্তাটাকে বলে কিনা ভালো ! কৌণ্ডিলা । ভাই ভবদত্ত, বরাবরই তো দেখে আসছ জনার্দনের ঐ একরকম ত্যাড়া বুদ্ধি । কোন দিন বিপদে পড়বেন— রাজার কানে যদি যায় তা হলে ম’লে ওঁকে শ্মশানে ফেলবার লোক খুঁজে পাবেন না । ভবদত্ত । আমাদের তো, ভাই, এই খোলা রাস্তার দেশে এসে অবধি খেয়ে-শুয়ে সুখ নেই— দিনরাত গা-ঘিনঘিন করছে । কে আসছে কে যাচ্ছে তার কোনো ঠিক-ঠিকানাই নেই– রাম রাম । কৌণ্ডিল্য । সেও তো ঐ জনাদনের পরামর্শ শুনেই এসেছি । আমাদের গুষ্টিতে এমন কখনো হয় নি । আমার বাবাকে তো জান— কতবড়ো মহাত্মালোক ছিল— শাস্ত্রমতে ঠিক উনপঞ্চাশ হাত মেপে গণ্ডি কেটে তার মধ্যেই সমস্ত জীবনটা কাটিয়ে দিলে— একদিনের জন্তে তার বাইরে পা ফেলে নি । মৃত্যুর পর কথা উঠল ঐ উনপঞ্চাশ হাতের মধ্যেই তো দাহ করতে হয়। সে এক বিষম মুশকিল। শেষকালে শাস্ত্রী বিধান দিলে যে, উনপঞ্চাশে যে দুটো অঙ্ক আছে তার বাইরে যাবার জো নেই, অতএব ঐ চার নয় উনপঞ্চাশকে উলটে নিয়ে নয় চার চুরানব্বই করে দাও— তবেই তো তাকে বাড়ির বাইরে পোড়াতে পারি, নইলে ঘরেই দাহ করতে হত । বাবা, এত অঁাটার্তাটি ! এ কি যে-সে দেশ পেয়েছ ! ভবদত্ত। বটেই তো, মরতে গেলেও ভাবতে হবে, এ কি কম कथां ! কৌণ্ডিল্য। সেই দেশের মাটিতে শরীর, তবু জনাৰ্দন বলে কিনা খোলা রাস্তাই ভালো ! ኺ { সকলের প্রস্থান