পাতা:রাজা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রোহিণী। আমাদের যে সাহস অল্প, তাই ভয় হয় কী জানি যদি ভুল করি তবে অপরাধ হবে । সুদৰ্শন । আহা, যদি সুরঙ্গমা থাকত তা হলে কোনো সংশয় থাকত না | রোহিণী। সুরঙ্গমাই আমাদের সকলের চেয়ে সেয়ান হল বুঝি ! সুদৰ্শন । তা যা বলিস, সে তাকে ঠিক চেনে । রোহিণী । এ কথা আমি কক্‌খনো মানব না ; ও তার ভান । বললেই হল চিনি, কেউ তো পরীক্ষা করে নিতে পারবে না । আমরা যদি ওর মতো নির্লজ্জ হতুম, তা হলে অমন কথা আমাদেরও মুখে আটকাত না । সুদৰ্শন । না না, সে তো বলে না কিছু । রোহিণী। ভাব দেখায়। সে যে বলার চেয়ে আরো বেশি। কত ছলই যে জানে। ঐজন্তেই তো আমাদের কেউ তাকে দেখতে পারে না । সুদৰ্শন । যাই হোক, সে থাকলে একবার তাকে জিজ্ঞাসা করে দেখতুম । রোহিণী । সে তো কখনো কোথাও বেরোয় না, আজ দেখি সে সাজসজ্জা করে উৎসব করতে বেরিয়েছে । তার রঙ্গ দেখে হেসে বাচি নে । সুদৰ্শন। আজ যে প্রভুর হুকুম, তাই সে সেজেছে । রোহিণী । তা বেশ মহারানী, আমাদের কথায় কাজ কী । যদি ইচ্ছা করেন তাকেই ডেকে আনি, তার মুখ থেকেই সন্দেহভঞ্জন হোক । তার ভাগ্য ভালো, রানীর কাছে রাজার পরিচয় সেই করিয়ে দেবে। সুদৰ্শন । না না, পরিচয় কাউকে করাতে হবে না— তবু কথাটা সকলেরই মুখে শুনতে ইচ্ছে করে।