পাতা:রাজা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুদৰ্শন । হয়েছে হয়েছে, আর না । তোমাদের এই গান শুনে চোখে জল ভরে আসছে। আমার মনে হচ্ছে যা পাবার জিনিস তাকে হাতে পাবার জো নেই— তাকে হাতে পাবার দরকার নেই। এমনি করে খোজার মধ্যেই সমস্ত পাওয়া যেন স্বধাময় হয়ে আছে। কোন মাধুর্যের সন্ন্যাসী তোমাদের এই গান শিখিয়ে দিয়েছে গে।— ইচ্ছে করছে চোখে-দেখা কানে-শোনা ঘুচিয়ে দিই— হৃদয়ের ভিতরটাতে যে গহনপথের কুঞ্জবন আছে সেইখানকার ছায়ার মধ্যে উদাস হয়ে চলে যাই । ওগো কুমার তাপসগণ, তোমাদের আমি কী দেব বলে । আমার গলায় এ কেবল রত্বের মালা— এ কঠিন হার তোমাদের কণ্ঠে পীড়া দেবে— তোমরা যে ফুলের মালা পরেছওর মতো কিছুই আমার কাছে নেই । [ প্ৰণাম করির বালকগণের প্রস্থান - রোহিণীর প্রবেশ সুদৰ্শন। ভালো করি নি, ভালো করি নি রোহিণী ! তোর কাছে সমস্ত বিবরণ শুনতে আমার লজ্জা করছে। এইমাত্র হঠাৎ বুঝতে পেরেছি— যা সকলের চেয়ে বড়ো পাওয়া তা দুয়ে পাওয়া নয়, তেমনি যা সকলের চেয়ে বড়ো দেওয়া তা হাতে করে দেওয়া নয় । তৰু বল, কী হল বল। রোহিণী। আমি তো রাজার হাতে ফুল দিলুম, কিন্তু তিনি যে কিছু বুঝলেন এমন তো মনে হল না। সুদৰ্শন । বলিস কী ! তিনি বুঝতে পারলেন না ? রোহিণী। না, তিনি অবাক হয়ে চেয়ে পুতুলটির মতো বলে রইলেন । কিছু বুঝলেন না এইটে পাছে ধরা পড়ে সেইজন্তে একটি কথা কইলেন না । ●\3