পাতা:রাজা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজবেশী । ভুল হবে না। কাঞ্চী করভোস্তানের মধ্যেই রানীর প্রাসাদ ? রাজবেশী । ই মহারাজ, সে আমি দেখে নিয়েছি। কাঞ্চী । সেই উদ্যানে আগুন লাগিয়ে দেবে— তার পরে অগ্নিদাহের গোলমালের মধ্যে কার্যসিদ্ধি করতে হবে । রাজবেশী । কিছু অন্যথা হবে না । কাঞ্চী । দেখে হে ভগুরাজ আমার, কেবলই মনে হচ্ছে আমরা মিথ্যে ভয়ে ভয়ে চলছি, এ দেশে রাজা নেই। রাজবেশী । সেই অরাজকতা দূর করবার জন্তেই তো আমার চেষ্টা । সাধারণ লোকের জন্তে, সত্য হোক - মিথ্যে হোক, একটা রাজা চাই-ই, নইলে অনিষ্ট ঘটে । কাঞ্চী । হে সাধু, লোকহিতের জন্তে তোমার এই আশ্চর্য ত্যাগস্বীকার আমাদের সকলেরই পক্ষে একটা দৃষ্টান্ত । ভাবছি যে এই হিতকাৰ্যটা নিজেই করব । ( সহসা ঠাকুরদাকে দেখিয়া ) কে হে, কে তুমি ? কোথায় লুকিয়ে ছিলে ? ঠাকুরদা। লুকিয়ে থাকি নি। অত্যন্ত ক্ষুদ্র বলে আপনাদের চোখে পড়ি নি । রাজবেশী । ইনি এ দেশের রাজাকে নিজের বন্ধু বলে পরিচয় দেন, নির্বোধের বিশ্বাস করে । ঠাকুরদা । বুদ্ধিমানদের কিছুতেই সন্দেহ ঘোচে না, তাই নির্বোধ নিয়েই আমাদের কারবার। কাঞ্চী । তুমি আমাদের সব কথা শুনেছ ? ঠাকুরদা। আপনার আগুন লাগাবার পরামর্শ করছিলেন । কান্ধী। তুমি আমাদের বন্দী, চলো শিবিরে। ৬২