পাতা:রাজা গনেশ - শচীশ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ । ミミぐ যুক্তিসঙ্গত নহে। সহস্ৰ অপমান সহিয়াও কিশোরীমোহন শ্বশুরালয়ে নিশিযাপন করাই স্থির করিল। কিন্তু তাহাতেও বিধি বাদ সাধিল । মধ্য রাত্ৰিতে কিশোরীমোহন যখন কক্ষমধ্যে নিদ্রিত, তখন মনুয়া নিঃশব্দে উঠিয়া গিয়া বাটীর জনৈক ভূত্যকে জাগাইল । মনুয়ার ইচ্ছানুক্রমে সে আবার কৰ্ত্তাকে উঠাইল । কৰ্ত্তা অমরনাথ আসিলে মনুয়া তাহার কাছে দেবীকোটের যুদ্ধের কথা আদ্যোপান্ত বিবৃত করিল। কিশোরীমোহন ঘে মহামায়ার মন্দির ভাঙ্গিতে আসিয়াছিলেন-রাজা গণেশকে হত্যা করিতে আসিয়াছিলেন, তাহ অন্তরালে পড়াইয়া চুপি চুপি বলিতে লাগিল। শুনিয়া অমরনাথ রোষে ঘূণায় জ্বলিয়া উঠিলেন ; এবং সেই রাত্ৰিতেই জামাতাকে গৃহবহিস্কৃত করিয়া দিলেন । মনুয়াও সেই সঙ্গে পথে আসিয়া দাড়াইল । অশ্ব সজ্জিত করিয়া উভয়ে অশ্বপুষ্ঠে উঠিল । ঘোড়ায় উঠিয়া কিশোরীমোহন অনেক শাসাইতে লাগিল। অমরনাথ তদুত্তরে বলিলেন, “তোমার সাধ্যমত তুমি করিও ; অমরনাথ তোমার আলিম চাচাকে ভয় করে না। আমার গৃহ শ্মশানে পরিাণত করিতে পার, স্ত্রীপুত্ৰকে জল্লাদের হস্তে সমৰ্পণ করিতে পার, দসু্যবৃত্তি করিয়া আমার সর্বস্ব অপহরণ করিতে C.