পাতা:রাজা গনেশ - শচীশ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ । నిరి কিছু অর্থের প্রয়োজন ; মোহন সাহেব ব্যতীত কে আর বিনা বাক্যব্যয়ে অর্থ দিবে ? তাই আলিমস বহুকাল পরে আজি সখা ও অনুচর কিশোরীমোহনকে স্মরণ করিয়াছেন। কিশোরীমোহন সে সংবাদ অনবগত। সে আনন্দে পরিপ্লত হইয়া সুলতানকে সাদরে অভ্যর্থনা করিল। মখমল-মণ্ডিত উচ্চাসনে উপবিষ্ট হইয়া আলিম স মৃদুমধুর হাসিতে হাসিতে বলিলেন, “কাৰ্য্যে বিব্রত থাকায় অনেকদিন আসিতে পারি নাই, মোহন সাহেব ! কিন্তু আমি তোমাকে একদিনের জন্যও ভুলি নাই।” সুলতান তাহাকে প্ৰতিদিন স্মরণ করিতেন ! আনন্দে অধৈৰ্য্য হইয়। কিশোরীমোহন কি করিবে কিছুই স্থির করিতে পারিল না। ভূত্যের ন্যায়। সারাপ বহিয়া সুলতানের সম্মুখে 'রক্ষা করিল। তাম্বুল, মাল্য আনিয়া তাহাকে প্ৰদান করিল । অবশেষে উপবেশন করিল ; কিন্তু একাসনে নয়- পৃথগাসনে, দূরে । সুলতানের মন কিন্তু সে দিকে ছিল না, -তিনি উদ্যানে যে মুখখানি দেখিয়া আসিয়াছিলেন তাহাই ভাবিতেছিলেন। সে মুখখানি অতি সুন্দর ; এত সৌন্দৰ্য্য নর্তকীতে সম্ভব নয়। * ভ্ৰষ্ট শ্রী বেশ্য সে লাবণ্যরাশি কোথায় পাইবে ? তবে এ রমণী কে ? এ আনাস্ত্ৰাত বন