পাতা:রাজা প্রজা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজভক্তি । సెt টাকেই সৰ্ব্বদা প্রকাশমান রাখিবার জন্ত তাহারা আমাদিগকে সকল বিষয়েই অহরহ দূরে ঠেকাইয়া রাখে এবং কেবলমাত্র প্রবলতার দ্বারা আমাদিগকে অভিভূত করিয়া রাখিতে চেষ্টা করে। আমাদের ইচ্ছ অনিচ্ছা যে তাহাদের রাজনীতিকে স্পর্শ করিতে পারে, একথা তাহার স্বীকার করিতে কুষ্ঠিত হয়। এমন কি, তাহদের কোনো বিধানে আমরা বে বেদন অনুভব ও বেদন প্রকাশ করিব, তাহাও তাহারা স্পদ্ধ পলিয়া জ্ঞান করে । কিন্তু স্বামী যতই কঠোর হউক্‌ না কেন সে স্ত্রীর কাছে যে কেবল বাধ্যতা চাহে তাহা নহে, স্ত্রীর হৃদয়ের প্রতিও তাহার ভিতরে ভিতরে আকাঙ্ক্ষা থাকে। অথচ হৃদয় অধিকার করিবার ঠিক পথটি সে গ্রহণ করিতে পারে না, তাহার দুর্ণম্য ঔদ্ধত্যে বাধা দেয়। যদি তাহার সন্দেহ জন্মে যে স্ত্রী তাহার আধিপত্য সহ করে কিন্তু তাহাকে ভাল বাসে না, তবে সে তাহার কঠোরতার মাত্রা বাড়াইতে থাকে। প্রীতি জন্মাইবার ঠহ যে প্রকৃষ্ট উপায় নহে, সে কথা বলাই বাহুল্য । সেইরূপ ভারতবর্ষের ইংরেজ-রাজারা আমাদের কাছ হইতে রাজভক্তির দাবীটুকুও ছাড়িতে পারে না। কিন্তু ভক্তির সম্বন্ধ হৃদয়েব সম্বন্ধ— স সম্বন্ধে দান প্রতিদান আছে—তাহী কলের সম্বন্ধ নহে । সে সম্বন্ধ স্থাপন করিতে গেলেই কাছে আসিতে হয়, তাহা শুদ্ধমাত্র জবরদস্তির কৰ্ম্ম নহে। কিন্তু কাছেও বেৰিব না, হৃদয়ও দিব না—অথচ রাজভক্তি ও চাই । শেষকালে সেই ভক্তিসম্বন্ধে যখন সন্দেহ জন্মে, তখন গুর্থা লাগাইয়া, বেত চালাইয়া, জেলে দিয়া ভক্তি আদায় করিতে ইচ্ছা হয় । ইংরেজ, শাসনের কল চালাইতে চালাইতে হঠাৎ এক একবার রাজভক্তির জন্য ব্যগ্র হইয়া উঠেন, কার্জনের আমলে তাহার একটা নমুনা পাওয়া গিয়াছিল। স্বাভাবিক আভিজাত্যের অভাবে লর্ড কার্জন কর্তৃত্বের নেশায় উন্মত্ত