পাতা:রাজা প্রজা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বহুরাজকতা । Y o V) উঠ, জাগে, যাহা শ্রেষ্ঠ তাহাই পাইয়া প্রবুদ্ধ হও, যাহা যথার্থ পথ তাহ ক্ষুরধারশাণিত দুর্গম দুরত্যয়, কবির এইরূপ বলিয়া থাকেন। چ لا 9 لا বহুরাজকতা । সাবেক কালের সঙ্গে এখনকার কালের তুলনা করিতে আমরা ছাড়ি না । সাবেক কাল যখন হাজির নাই, তখন একতরফা বিচারে যাহা হইতে পারে তাহাই ঘটিয়া থাকে অর্থাৎ বিচারকের মেজাজ অনুসারে কখনো বা সেকালের ভাগ্যে যশ জোটে, কখনো বা একালের জিৎ হয়। কিন্তু এমন বিচারের উপরে ভরসা রাখা যায় না। আমাদের পক্ষে মোগলের অমিল সুখের ছিল কি ইংরেজের আমল মুখের, গোটাকতক মোটা মোট সাক্ষীর কথা শুনিয়াই তাহার শেষ নিষ্পত্তি হইতে পারে না। নানা সুক্ষ্ম জিনিষের উপর মানুষের সুখদু:থ নির্ভর করে—সে সমস্ত তন্ন তন্ন করিয়া দেখা সম্ভবপর নয় । বিশেষত যে কালটা গেছে সে আপনার অনেক সাক্ষীসাবুদ সঙ্গে লইয়া গেছে। কিন্তু সেকাল-একালের একটা মস্ত প্রভেদ ছোট বড় আর সমস্ত প্রভেদের উপরে মাথা তুলিয়া আছে। এই প্রভেদটা যেমন সকলের চেয়ে বড়, তেমনি নিশ্চয়ই এই প্রভেদের ফলাফলও আমাদের দেশের পক্ষে সকলের চেয়ে গুরুতর। আমাদের এই ছোট প্রবন্ধে আমরা সেই প্রভেদটির কথাই সংক্ষেপে পাড়িয়া দেখিতে চাই। ইতিপূৰ্ব্বে ভারতবর্ষের সিংহাসনে একজন বাদশাহ ছিল, তাছার পরে একটি কোম্পানি বসিয়াছিল, এখন একটি জাতি বসিয়াছে । আগে ছিল