পাতা:রাজা প্রজা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বছরাজকতা । У o Č আমরা মনে করিতেছি বিলাতে গিয়া যদি দ্বারে দ্বারে দুঃখ নিবেদন করিয়া ফিরি, তবে একটা সদগতি হইতে পারে। 曾 কিন্তু এ কথা মনে রাখিতে হইবে যাকার বিরুদ্ধে নালিশ, আমরা তাহার কাছেই নালিশ করিতে যাইতেছি । বাদশাহের আমলে আমরা উজীর হইয়াছি, সেনাপতি হইয়াছি, দেশ শাসন করিবার ভার পাইয়াছি, এখন যে তাহা আমাদের আশার অতীত হইয়াছে ইহার কারণ কি ? অন্ত গুঢ় বা প্রকাগু কারণ ছাড়িয়া দাও, একটা মোট কারণ আছে সে ত স্পষ্টই দেখিতেছি । ইংলণ্ড সমস্ত ইংরেজকে অন্ন দিতে পারে না-ভারতবর্ষে তাহাদের জন্য অন্নপত্র খোলা থাকা আবশ্যক। একটি জাতির অন্নের ভার অনেকট পরিমাণে আমাদের স্বন্ধে পড়িয়াছে ; সেই অন্ন নানারকম আকারে নানারকম পাত্রে যোগাইতে হইতেছে। যদি সপ্তমএডোওয়ার্ড যথার্থই আমাদের দিল্লির সিংহাসনে রাজা হইয়া বসিতেন, তবে তাহাকে গিয়া বলিতে পারিতাম যে, হুজুর, অল্পের যদি বড় বড় গ্রাস সমস্তই বিদেশী লোকের পাতে পড়ে, তবে তোমার রাজ্য টেকে কি করিয়া । তখন সম্রাটও বলিতেন, “তাইত, আমার সাম্রাজ্য হইতে আমার ভোগের জন্ত যাহা গ্রহণ করি তাহা শোভা পায়, কিন্তু তাই বলিয়া বারো ভূতে মিলিয়া পাত পড়িয়া বসিলে চলিবে কেন ?” তখন আমার রাজা বলিয়া তাহার দরদ বোধ হইত এবং অন্যের লুদ্ধহস্ত ঠেকাইয়া রাখিতেন। কিন্তু আজ প্রত্যেক ইংরেজই ভারতবর্ষকে আমার রাজ্য বলিয়া জানে। এ রাজ্যে তাঁহাদের ভোগের খৰ্ব্বত ঘটতে গেলেই তাহারা সকলে মিলিয় এমনি কলরব তুলিবে যে, তাহদের স্বদেশীয় কোনো আইনকৰ্ত্ত এসম্বন্ধে কোনো বদল করিতে পরিবেই না । এই আমাদের প্রকাও বহুসহস্রমুখবিশিষ্ট রাজার মুখের গ্রালে ভাগ