পাতা:রাজা প্রজা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

^) ety ज्ञांखाँ @धंछ । উক্ষাইয়া আমাদের চারিদিকের আবিল আকাশকে আরো অস্বচ্ছ করিয়া ন তুলি। তীব্র বাক্যের দ্বারা চাঞ্চল্যকে বাড়াইয়া তোলা হয়, ভয়ের স্বারা সত্যকে কোন প্রকারে চাপা দিবার প্রবৃত্তি জন্মে—অতএব অন্তকার দিনে হৃদয়াবেগ প্রকাশের উত্তেজনা সম্বরণ করিয়া যথাসম্ভব শান্তভাবে যদি বর্তমান ঘটনাকে বিচার না করি, সত্যকে আবিষ্কার ও প্রচার না করি তবে আমাদের আলোচনা কেবল যে ব্যর্থ হইবে তাহী নহে, তাহাতে অনিষ্ট ঘটবে। আমাদের হীনাবস্থা বলিয়াই উপস্থিত বিভ্রাটের সময় কিছু অতিরিক্ত ব্যগ্রতার সহিত তাড়াতাড়ি অগ্রসর হইয়া উচ্চৈঃস্বরে বলিতে ইচ্ছা করে, “আমি ইহার মধ্যে নাই ; এ কেবল অমুক দলের কীৰ্ত্তি ; এ কেবল অমুক লোকের অন্যায় ; আমি পূৰ্ব্ব হইতেই বলিয়া আসিতেছি এসব ভাল হইতেছে না ; আমিত জানিতাম এমনি একটা ব্যাপার ঘটবে।” কোনো আতঙ্কজনক দুর্ঘটনার পর এই প্রকার অশোভন উৎকণ্ঠার সহিত পরের প্রতি অভিযোগ বা নিজের স্ববুদ্ধি লইয়া অভিমান আমার কাছে দুৰ্ব্বলতার পরিচয় সুতরাং লজ্জার বিষয় বলিয়া মনে হয়। বিশেষতঃ আমরা প্রবলের শাসনাধীনে আছি এই জন্ত রাজপুরুষদের বিরাগের দিনে অন্তকে গালি দিয়া নিজেকে ভালমানুষের দলে দাড় করাইতে গেলে তাহার মধ্যে কেমন একটা হীনতা আসিয়া পড়েই—অতএব দুৰ্ব্বল পক্ষের এইরূপ ব্যাপারে অতিরিক্ত উৎসাহ প্রকাশ করিতে না যাওয়াই ভাল। তাহার পরে, যাহারা অপরাধ করিয়াছে, ধরা পড়িয়াছে, নিৰ্ম্মম রাজদণ্ড যাহাদের পরে উদ্যত হইয়া উঠিয়াছে, আর কিছু বিচার না করিয়া কেবল মাত্র বিপদ ঘটাইয়াছে বলিয়াই তাহদের প্রতি তীব্রতা প্রকাশ করাও কাপুরুষতা। তাহাজের বিচারের ভার এমন হাতে আছে যে, অনুগ্রহ বা মমত্ব সেই হাতৰে লেশমাত্র দণ্ডলীঘবতার দিকে বিচলিত