পাতা:রাজা প্রজা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्रंथं ७ श्रigंश्च । ১ e৯ করিবে না। অতএব ইহার উপরেও আমরা যেটুকু অগ্রসর হুইয়া যোগ করিতে যাইব তাহাতে ভীরু স্বভাবের নির্দয়ত প্রকাশ পাইবে। ব্যাপারটাকে আমরা যেমনি দোষাবহ বলিয়া মনে করিনা কেন, সে সম্বন্ধে মত প্রকাশের আগ্রহে আমরা আত্মসন্ত্রমের মর্য্যাদা লঙ্ঘন করিব কেন ? সমস্ত দেশের মাথার উপরকার আকাশে যখন একটা রুদ্ররোষ রক্তবর্ণ হইয়া স্তব্ধ হইয়া রহিয়াছে তখন সেই বজ্রধরের সম্মুখে আমাদের দায়িত্ববিহীন চাপল্য কেবল যে অনাবশ্যক তাহা নহে তাহা কেমন একপ্রকার অসঙ্গত । যিনি নিজেকে যতই দূরদর্শী বলিয়া মনে করুন না একথা আমাদিগকে স্বীকার করিতেই হইবে যে, ঘটনা যে এতদূর আসিয়া পৌছিতে পারে তাহা দেশের অধিকাংশ লোক কল্পনা করে নাই। বুদ্ধি আমাদের সকলেরই নুনাধিক পরিমাণে আছে কিন্তু চোর পালাইলে সেই বুদ্ধির যতটা বিকাশ হয় পুৰ্ব্বে ততটা প্রত্যাশা করা যায় না । অবগু, ঘটনা যখন ঘটিয়াছে তখন একথা বলা সহজ যে, ঘটনার সম্ভাবনা ছিল বলিয়াই ঘটিয়াছে। এবং অমনি এই সুযোগে আমাদের মধ্যে যাহারা স্বভাবত কিছু অধিক উত্তেজনাশীল তাহাদিগকেও ভৎসন করিয়া বলা সহজ যে তোমরা যদি এতটা দুর বাড়াবাড়ি না করিতে তবে ভাল হইত। আমরা হিন্দু, বিশেষত বাঙালী, বাক্যে যতই উত্তেজনা প্রকাশ করি কোনো দুঃসাহসিক কাজে কদাচ প্রবৃত্ত হইতে পারিন এই লজ্জার কথা দেশে বিদেশে রাষ্ট্র হইতে বাকি নাই! ইহা লইয়া বাবুসম্প্রদায় বিশেষ ভাবে ইংরেজের কাছে অহরহ দুঃসহ ভাষায় খোট খাইয়া আসিয়াছে। সৰ্ব্বপ্রকার উত্তেজনাবাক্য অন্তত বাংলা দেশে যে সম্পূর্ণ নিরাপদ এ সম্বন্ধে আমাদের শত্রু মিত্র কাহারে কোনো সন্দেহ মাত্র ছিলনা ! তাই এপর্য্যস্ত কথায় বার্তায় ভাবে ভঙ্গিতে আমরা যতই বাড়াবাড়ি,