পাতা:রাজা প্রজা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২০ রাজা প্রজা । কিন্তু যখন দেখা যায় কোন একটা বিশেষ-ঘটনামূলক উত্তেজনার তাড়নায়, একটা সাময়িক বিরোধের ক্ষুব্ধতার দেশের অনেক লোক সহসী দেশের হিত করিতে হইবে বলিয়া একমুহূর্বে উৰ্দ্ধশ্বাসে ধাবিত হয় নিশ্চয় বুঝিতে হইবে হৃদয়াবেগকেই একমাত্র সম্বল করিয়া তাহারা দুর্গম পথে বাহির হইয়া পড়িয়াছে। তাহার দেশের সুদূর ও সুবিস্তীর্ণ মঙ্গলকে শান্তভাবে সত্যভাবে বিচার করিতে অবস্থা-গতিকেই অক্ষম। তাহারা তাহাদের উপস্থিত বেদনাকেই এত তীব্রভাবে অনুভব করে এবং তাহারই প্রতিকারচেষ্টাকে এত উগ্রভাবে মনে রাখে। যে আত্মসম্বরণে অক্ষম হইয় দেশের সমগ্ৰ হিতকে আঘাত করা তাহাদের পক্ষে অসম্ভব হয় না । ইতিবৃত্তের শিক্ষাকে ঠিকমত বিচার করিয়া লওয়া বড় কঠিন। সকল দেশের ইতিহাসেই কোন বৃহৎ ঘটনা যখন মূৰ্ত্তি গ্রহণ করিয়া দেখা দেয় তখন তাহার অব্যবহিত পূৰ্ব্বেই আমরা একটা প্রবল আঘাত ও আন্দোলন দেখিতে পাই। রাষ্ট্রে বা সমাজে অসামঞ্জস্তের বোঝা অনেকদিন হইতে নিঃশব্দে পুঞ্জীভূত হইতে হইতে একদিন একটা আঘাতে হঠাৎ তাহা বিপ্লবে ভাঙিয়া পড়ে। সেই সময় দেশের মধ্যে যদি অমুকুল উপকরণ প্রস্তুত থাকে, পূৰ্ব্ব হইতেই যদি তাহার ভাণ্ডারে নিগৃঢ়ভাবে জ্ঞান ও শক্তির সম্বল সঞ্চিত থাকে তবেই সেই বিপ্লবের দারুণ আঘাতকে কাটাইয়া সে দেশ আপনার নূতন। জীবনকে নবীন সামঞ্জস্ত দান করিয়া গড়িয়া তোলে। দেশের সেই আভ্যন্তরিক প্রাণ সম্বল যাহা অন্তঃপুরের ভাণ্ডারে প্রচ্ছন্নভাবে উপচিত হয় তাহ আমরা দেখিতে পাইন বলিয়া আমরা মনে করি বুঝি বিপ্লবের দ্বারাতেই দেশ সার্থকতা লাভ করিল ; বিপ্লবই যেন মঙ্গলের মূলকারণ এবং মুখ্য উপায়। ইতিহাসকে এইরূপে বাহভাবে দেখিয়া একথা ভুলিলে চলিবেন ষে দেশের মৰ্ম্ম স্থানে স্বাক্ট করিবার শক্তি ক্ষীণ হইয়াছে প্রলয়ের श्रादा ठ:फ cन करनई काठेहेद्र उँ?:उ *ां८ब न । भक्लिब डूनिवांब