পাতা:রাজা প্রজা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> &br রাজা প্রজা । এমন সময় কোথা হইতে একটা আঘাত লাগিল, ঘুমের ঘোরও কাটিল, আগেকার মত পুনশ্চ মুখস্বপ্ন দেখিবার জন্ত নয়ন মুদিবার ইচ্ছাও রহিল না, কিন্তু আশ্চৰ্য্য এই আমাদের সেই স্বপ্নের সঙ্গে জাগরণের একটা बिबट्ञ विण ब्रश्ब्रिाहे cभग । তখন আমরা নিশ্চিন্ত হইয়াছিলাম, যে, চেষ্টা না করিয়াই আমরা চেষ্টার ফল পাইতে থাকিব, এখনো ভাবিতেছি ফল পাইবার জন্য প্রচলিত পথে চেষ্টাকে খাটাইবার প্রয়োজন আমরা যেন যথেষ্ট সংক্ষিপ্ত করিয়া লইতে পারি। স্বপ্নাবস্থাতেও অসম্ভবকে অঁাকড়িয়া পড়িয়া ছিলাম, জাগ্রত অবস্থাতেও সেই অসম্ভবকে ছাড়িতে পারিলাম না। শক্তির উত্তেজনা আমাদের মধ্যে অত্যন্ত বেশি হওয়াতে অত্যাবহ্যক বিলম্বকে অনাবশ্যক বোধ হইতে লাগিল। বাহিরে সেই চিরপুরাতন দৈন্ত রহিয়৷ গিয়াছে, অথচ অস্তরে নবজাগ্রত শক্তির অভিমান মাথা তুলিয়াছে, উভয়ের সামঞ্জস্ত করিব কি করিয়া ? ধীরে ধীরে ? ক্রমে ক্রমে ? মাঝখানের প্রকাও গহবরটাকে পাথরের সেতু দিয়া বাধিয়া ? কিন্তু অভিমান দেরি সহিতে পারেন, মত্ততা বলে আমার সিড়ির দরকার নাই আমি উড়িব । সময় লইয়া স্বসাধ্য সাধন ত সকলেই পারে ; অসাধ্য সাধনে আমরা এখনি জগৎকে চমক লাগাইয়া দিব এই কল্পনা আমাদের উত্তেজিত হইয়া উঠিয়াছে। তাহার কারণ, প্রেম যখন জাগে তখন সে গোড়া হইতে সকল কাজই করিতে চায়, সে ছোট হইতে বড় কিছুকেই অবজ্ঞ করেন, কোনো কৰ্ত্তব্য পাছে অসমাপ্ত থাকে এই আশঙ্কা তাহার ঘুচেনা। প্রেম নিজেকে সার্থক করিতেই চায় সে নিজেকে প্রমাণ করিবার জন্ত ব্যস্ত নহে । কিন্তু অপমানের তাড়নায় কেবল আত্মাভিমানমাত্র যখন জাগিয়া উঠে তখন সে বুক ফুলাইয়া বলে আমি হঁটিয়া চলিবন! আমি ডিঙাইয়া চলিব। অর্থাৎ পৃথিবীর অন্ত সকলের পক্ষে যাহা খাটে তার পক্ষে তাহার কোনো প্রয়োজন নাই, ধৈৰ্য্যের প্রয়োজন নাই,