পাতা:রাজা প্রজা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমস্তা । እ8ዊ হইতে থাকে –স্বতাবের এই নিয়মকে কে ঠেকাইতে পারে? অবশেষে জমির উঠতে উঠিতে ইহার কি কোথাও কোনোই পরিণাম নাই ? বাধাহীন কর্তৃত্বে চরিত্রের অসংযম যখন বুদ্ধির অন্ধতাকে জানয়ন করে তখন কি কেবল তাহা দরিদ্রেরই ক্ষতি এবং তুর্কলেরই দুঃখের কারণ হয় ? এইরূপে বাহিরের আঘাতে বহুদিন হইতে দেশের মধ্যে একটা উত্তেজনা ক্রমশই উদ্দীপ্ত হইয় উঠতেছে এই অত্যন্ত প্রত্যক্ষ সত্যটুকুকে কেহই অস্বীকার করিতে পারিবেন । এবং ইংরেজ সমস্ত শাসন ও সতর্কত কেবল একটা দিকে কেবল তুৰ্ব্বলের দিকে চাপান দিয়া যে একটা অসমতার স্বাক্ট করিতেছে তাহাতে ভারতবাসীর সমস্ত বুদ্ধিকে, সমস্ত কল্পনাকে সমস্ত বেদনাবোধকে অহরহ অতিরিক্ত পরিমাণে এই বাহিরের দিকেই, এই একটা নৈমিত্তিক উৎপাতের দিকেই উক্তি করিয়া রাখিয়াছে তাহাতে সন্দেহ নাই। অতএব, এমন অবস্থায় দেশের কোন কথাটা সকলের চেয়ে বড় কথা তাহ যদি একেবারেই ভুলির বাই তবে তাহাতে আশ্চর্ঘ্য হইবার কিছুই নাই। কিন্তু যাহা প্রাকৃতিক তাহা তুর্শিবার হইলেও তাহা সকল এসময়ে শ্রেয়স্কর হয় না । হৃদয়াবেগের তীব্রতাকেই পৃথিবীর সকল বাস্তবের চেয়ে বড় বাস্তব বলিয়া মনে করিয়া আমরা যে অনেক সময়েই ভয়ঙ্কর ভ্রমে পড়িয়া থাকি—সংসারে এবং নিজের ব্যক্তিগত জীবনে পদে পদে তাহার পরিচয় পাইয়া আসিয়াছি। জাতির ইতিহাসেও যে এ কথা আরো অনেক বেশি খাটে তাহা স্থিরচিত্তে বিবেচনা করিয়া দেখা কৰ্ত্তব্য । *আচ্ছ, ভাল কথা, তুমি কোনটাকে দেশের সকলের চেয়ে গুরুতর প্রয়োজন বলিয়া মনে কর” এই প্রশ্নটাই অনেকে বিশেষ বিরক্তির সহিত আমাকে জিজ্ঞাসা করিবেন ইহা অামি অনুভব করিতেছি। এই বিরক্তিকে স্বীকার করিয়া লইয়াও আমাকে উত্তর দিতে প্রস্তুত হইতে হইবে। ভারতবর্ষের সম্মুখে বিধাতা যে সমস্তাটি স্থাপিত করিয়াছেন তাহ