পাতা:রাজা প্রজা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रांजनैौछिब्र क्षिां । । 8? সাহসী হই। সে জন্ত ইংরাজ প্রভূর কিছু রাগ করে। তাহারা বলে, নবাব যখন যথেচ্ছাচারী ছিল, বৰ্গী যখন লুটপাট করিত, ঠগী যখন গলার ফালি লাগাইত তখন তোমাদের কনগ্রেসের সভাপতি এবং সংবাদপত্রের সম্পাদক ছিল কোথায় ! কোথাও ছিল না এবং থাকিলেও কোন ফল হইত না । তখন গোপন বিদ্রোহী ছিল, মারহাট্ট এবং রাজপুত ছিল, তখন বলের বিরুদ্ধে বল ছাড়া গতি ছিল না। তখন চোরার নিকট ধৰ্ম্মের কাহিনী উত্থাপন করিবার কথা কাহারো মনেও উদয় হইত না । আজ যে কনগ্রেস এবং সংবাদপত্রের অভু্যদয় হইয়াছে তাহার কারণই এই যে, ইংরাজের মধ্যে অখণ্ড বলের প্রাদুর্ভাব নাই। এখন চোরকে ধৰ্ম্মের কাহিনী বলিলে যদিবা সে না মানে তবু তার একটা ধৰ্ম্মসঙ্গত জবাব দিতে চেষ্টা করে এবং ভাল জবাবটি দিতে না পারিলে তেমন বলের সহিত কাজ করিতে পারে না । অতএব যে সকল ইংরাজ ভারতবর্ষীয় সভাসমিতি ও সংবাদপত্রের বাহুল্য বিস্তারে আক্ষেপ প্রকাশ করে, তাহারা যথার্থ পক্ষে স্বদেশীয়দের জাতীয় প্রকৃতিতে ধৰ্ম্মবুদ্ধির অস্তিত্ব লইয়া দুঃখ করে। তাহারা যে বয়ঃপ্রাপ্ত হইয়াছে, তাহারা যে । নিজের ক্রটির জন্য নিজে লজ্জিত হইতে শিথিয়াছে ইহাই তাহীদের নিকট শোচনীয় বলিয়া বোধ হয় । এক হিসাবে ইহার মধ্যে কতকটা শোচনীয়তা আছে। এদিকে । ক্ষুধার জালাও নিবারণ হয় নি ওদিকে পরের অল্পও কাড়িতে পারিব না এ এক বিষম সঙ্কট । জাতির পক্ষে নিজের জীবন রক্ষা এবং ধৰ্ম্ম রক্ষণ উভয়ই পরমাবস্তক। পরের প্রতি অন্তায়াচরণ করিলে যে পরের ক্ষতি হয় তাহ নহে নিজেদের ধর্মের আদর্শ ক্রমশঃ ভিত্তিহীন হইয় পড়ে। দাসদের প্রতি যাহারা অভ্যাচার করে তাহারা নিজের চরিত্র ধবংস করে । ধৰ্ম্মকে সৰ্ব্বপ্রযত্নে বলবান না রাশিলে আপনাদের মধ্যে জাতীয় বন্ধন ক্রমশঃ শিথিল হইয়া পড়িতে থাকে। অপর পক্ষে, পেট ভরিয়া খাইতেও