পাতা:রাজা প্রজা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপমানের প্রতিকার। 8苏 গুনিয়া এই কথা মনে কৰিলাম, ইংরাজ, এত অধিক সভ্য হইয়াছে যে, আমাদের সহিত সভ্যত রক্ষা সে বাহুল্য জ্ঞান করে। আমাদের নৈতিক আদর্শ কত মাত্রা উঠিয়াছে অথবা নামিয়াছে জানি না, কিন্তু ইহা জানি, যাহার আতিথ্য ভোগ করিতেছি তাহার স্বজাতিকে পরুষ বাক্যে অবমাননা করা আমাদের শিষ্টনীতির আদর্শের অনেক বাহিরে। অধ্যাপক মহাশয় আর একটি কথা বলিয়াছিলেন, যে কথা কেবল মাত্র অমিষ্ট ও অশিষ্ট নহে পরস্তু ইংরাজের মুখে অত্যন্ত অসঙ্গত শুনিতে হইয়াছিল। তিনি বলিয়াছিলেন, জীবনের পবিত্রতা, অর্থাৎ জীবনের প্রতি হস্তক্ষেপ করার পরম দুৰ্ষণীয়তা সম্বন্ধে ভারতবাসীর ধারণ ইংরাজের তুলনায় অত্যন্ত স্বল্প পরিমিত। সেই জন্ত হত্যাকারীর প্রতি ভারতবর্ষীয় জুরির মনে যথোচিত বিদ্বেবের উদ্রেক হয় না। যাহারা মাংসাশী জাতি এবং যাহার বিরাট হত্যাকাণ্ডের দ্বারা পৃথিবীর দুই নৰাবিষ্কৃত মহাদেশের মধ্যে আপনাদের বাসযোগ্য স্থান পরিষ্কার করিয়া লইয়াছে, এবং সম্প্রতি তরবারীর দ্বারা তৃতীয় মহাদেশের প্রচ্ছন্ন বক্ষোদেশ অল্পে অল্পে বিদীর্ণ করিয়া তাহার শস্ত অংশটুকু সুখে ভক্ষণ করিবার উপক্রম করিতেছে তাহারা যদি নিমন্ত্রণ-সভায় আরামে ও শৰ্দ্ধাভরে নৈতিক আদর্শের উচ্চ দণ্ডে চড়িয়া বসিয়া জীবনের পবিত্রতা ও প্ৰাণহিংসার অকৰ্ত্তব্যতা সম্বন্ধে অহিংসক ভারতবর্ষকে উপদেশ দিতে থাকে তবে অহিংসা পরমোধৰ্ম্মঃ এই শাস্ত্রবাক্য স্মরণ করিরাই সহিষ্ণুতা षड्क्लषन कृत्रॆिप्ट्ख ङ्य़ । * - এই ঘটনা আজ বছর দুয়েকের কথা হইবে। সকলেই জানেন তাহাঁর পরে এই দুই বৎসরের মধ্যে ইংরাজ কর্তৃক অনেকগুলি ভারতলিীন অপমৃত্যু ঘটিয়াছে এবং ইংরাজের জামাতে সেই সকল ইত্যাকাওে একজন ইংরাজেরও দোষ সপ্রমাণ ছয় নাই। সংবাদপত্রে উপৰুগিরি এই সকল সংবাৰ পাঠ কয় বার এবং ভারতৰীয়ের প্রতি সেই মুক্তিত