অত্যুক্তি। ԳՏ জিনিষ, তাহ জাল বলিলেই হয়। দিলদরাজ মোগলসম্রাটদের আমলে দিল্লিতে দরবার জমিত। আজ সে দিল নাই, সে দিল্লি নাই, তবু একটা নকল দরবার করিতে হইবে। সংবৎসর ধরিয়া রাজার পোলিটিকাল এজেণ্টের রাহুগ্রাসে কবলিত ;–সাম্রাজ্যচালনার তাহাদের স্থান নাই, কাজ নাই, তাহাদের স্বাধীনতা নাই—হঠাৎ একদিন ইংরেজসম্রাটের নায়েব, পরিত্যক্তমহিমা দিল্লিতে সেলাম কুড়াইবার জন্ত ইংরাজদিগকে তলব দিলেন, নিজের ভূলুষ্ঠিত পোষাকের প্রাস্ত শিখ ও রাজপুত রাজকুমারদের দ্বারা বহন করাইয়া লইলেন, - আকস্মিক উপদ্রবের মত একদিন একটা সমারোহের আগ্নেয় উচ্ছাস উদগীরিত হইয়া উঠিল,—তাহার পর সমস্ত শূন্ত, সমস্ত নিম্প্রভ । এখনকার ভারতসাম্রাজ্য আপিসে এবং আইনে চলে – তাহার রংচং নাই, গীতবাদ্য নাই, তাহাতে প্রত্যক্ষ মানুষ নাই। ইংরেজের খেলাধূলা, নাচগান, আমোদপ্রমোদ, সমস্ত নিজেদের মধ্যে বদ্ধ—সে আনন্দ-উৎসবের উদৃত্ত খুদকুঁড়াও ভারতবর্ষের জনসাধারণের জন্য প্রমোদশালার বাহিরে আসিয়া পড়ে না। আমাদের সঙ্গে ইংরেজের সম্বন্ধ আপিসের বাধা কাজ এবং হিসাবের খাতা সহির সম্বন্ধ । প্রাচ্য সমাটের ও নবাবের সঙ্গে আমাদের অন্নবস্ত্র, শিল্পশোভা, আনন্দউৎসবের নানা সম্বন্ধ ছিল । তাহাদের প্রাসাদে প্রমোদের দীপ জ্বলিলে তাহার আলোক চারিদিকে প্রজার ঘরে ছড়াইয়া পড়িত— র্তাহাদের তোরণদ্বারে যে নহবৎ বসিত, তাহার আনন্দধ্বনি দীনের কুটীরের মধ্যে ও প্রতিধ্বনিত হইয়া উঠিত । ইংরেজ সিভিলিয়ানগণ পরস্পরের আমন্ত্রণে-নিমন্ত্রণে-সামাজিকতার যোগদান করিতে বাধ্য, যে ব্যক্তি স্বভাবদোষে এই সকল বিনোদনব্যাপারে অপটু, তাহার উন্নতির অনেক ব্যাঘাত ঘটে । এই সমস্তই নিজেদের জন্ত। যেখানে পাঁচটা ইংরেজ আছে, সেখানে আমোদ