পাতা:রাজা রামমোহন - দেবেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য্য.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t ब्रस्त्रों द्रांप्रश्न রামমোহন জমীদারের পুত্ৰ, সুতরাং তিনি সেই রকম ভাবেই প্ৰতিপালিত হইতে লাগিলেন। শৈশবে কখনো মামার বাড়ীতে, কখনো বাপের কাছে থাকিয়া সকলের নয়নের মণি হইয়া উঠিলেন। একবার তিনি মায়ের সঙ্গে মামার বাড়ীতে গিয়াছিলেন। বৃদ্ধ শুঠাম ভট্টাচাৰ্য নাতিটাকে কোলে পিঠে করিয়া বেড়াইতেন, নাতিও সকল সময়ে ঠাকুরদাদার সঙ্গী হইয়া শৈশবের নানারকম উপদ্রবে। তঁহার আনন্দ বৰ্দ্ধন করিত। কি পূজার সময়ে, কি বেড়াইবার কালে, কি আহারের সময়ে সৰ্ব্বদাই সে ঠাকুরদাদার সঙ্গে সঙ্গে থাকিত । সেদিন ঠাকুরদাদা পূজায় বসিয়াছিলেন-নাতিটি কাছে বসিয়া দেখিতেছিল। পূজা শেষ করিয়া যেমন তিনি উঠিলেন অমনি সে গিয়া তঁহার হাত ধরিল । ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় ঠাকুরের প্রসাদী বেলপাতা নাতির হাতে দিয়া আশীৰ্ব্বাদ করিলেন । নাতি কিন্তু সে আশীৰ্ব্বাদের মৰ্ম্ম বুঝিল না, বেলপাতাটি ভক্তিভরে মাথায় না। রাখিয়া তৎক্ষণাৎ গালে পূরিয়া দিয়া চিবাইতে লাগিল। রামমোহনের মা সেইখান দিয়া যাইতে এ দৃশ্য দেখিলেন এবং তখনি তাড়াতাড়ি আসিয়া পুত্রের মুখে আঙ্গুল দিয়া বেলপাতা বাহির করিয়া ফেলিয়া দিলেন । তারপর পিতাকে কহিলেন- “এ কি করিতেছেন। বাবা ? রামমোহন পরম বৈষ্ণব বংশের সন্তান, আপনি তাহাকে বেলপাতা NfstFter-a «VI VENDyt. ” ব্ৰাহ্মণদের স্বভাব-একটুতেই চটিয়া আগুন হইয়া উঠেন, আবার একটুতেই শীতল হন। কন্যার কথা শুনিয়া-তাহার ধৰ্ম্মের গোড়ামী দেখিয়া ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় হঠাৎ অত্যন্ত রাগিয়া উঠিলেন এবং সঙ্গে সঙ্গে অভিশাপ দিলেন-“তোর এই সন্তান বিধৰ্ম্মী হইবে।” এই তুচ্ছ ব্যাপার যে এতদূর গড়াইবে তাহা তারিণীদেবী স্বপ্নেও ভাবেন নাই। পিতার অভিসম্পাৎ শুনিয়া তাহার বুক কঁাপিয়া