পাতা:রাজা রামমোহন - দেবেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য্য.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

AOR इांछ इभिभक्ष्ब লাগিল-এইরূপে দুই পত্রিকায় অনবরত ধৰ্ম্ম ও সমাজনীতি লইয়া ঘোরতর যুদ্ধ চলিল—সকল যুদ্ধেই দশভাষায় পণ্ডিত ব্ৰাহ্মণ-পত্রিকাই জিতিতে লাগিল। তখন সকলেই বুঝিল যে-নকল শিবপ্রসাদ শৰ্ম্মাস্বয়ং রামমোহন । তখন হইতে অনেক খৃষ্টধৰ্ম্ম-প্রচারক রামমোহনের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হইয়া উঠিলেন। তথাপি, তিনি যথাৰ্থ বীরের মত অচল অটল ভাবে আপন কৰ্ত্তব্য করিয়া যাইতে লাগিলেন । এইরূপ ধৰ্ম্মতত্ত্ব, সমাজতত্ত্ব, শাস্ত্রের দোষগুণ নির্ণয়পূর্বক কাগজে লেখার যুদ্ধে জয়ী হইয়া রামমোহনের নাম বিলাতে 'পৰ্য্যন্ত বিখ্যাত হইয়া পড়িল। গোড়া হিন্দুদের মত যেমন অনেক গোড় খৃষ্টান সাহেব তঁহার বিপক্ষ হইলেন, তেমনি আবার প্রকৃত খৃষ্টান, যথার্থ পণ্ডিত অনেক ধৰ্ম্ম প্রচারক সাহেব রামমোহনের গুণ ও পৃক্তিতে মুগ্ধ হইয়া তাহার বন্ধু হইলেন। ইংরাজী সুবিখ্যাত সংবাদপত্ৰ “ইষ্ট-ইণ্ডিয়া গেজেট-”এর সম্পাদক লিখিলেন যে—“ধৰ্ম্মযুদ্ধে, ধৰ্ম্ম-সংস্কারে, এবং সমাজের সংস্কারে রামমোহনের মত ব্যক্তি আর কেহ এ পৰ্য্যন্ত এদেশে জন্মগ্রহণ করেন নাই।” রামমোহনের সুখ্যাতি কিছুদিন ধরিয়া সেই পত্রিকায় যথানিয়মে বাহির হইতে লাগিল । সেই পত্রিকা, ইংলণ্ড, আমেরিকা প্ৰভৃতি দেশেও বিস্তর যাইত-সুতরাং সেই সব দেশবাসিগণও-চক্ষে না দেখিয়া ও-রামমোহনের শক্তি ও গুণগ্রামে মোহিত হইয়া তাঁহার বন্ধু হইয়া উঠিলেন। শুধু কি তাহাই ? তখনকার কলিকাতার ‘ব্যাপটিষ্ট মিশন” নামক খৃষ্ট-ধৰ্ম্মসভার সর্বপ্রধান ‘এ্যাডাম” সাহেব রামমোহনের কাছে দীক্ষা লইয়া ভঁাহার শিষ্যত্ব গ্ৰহণ করিলেন । বাঙ্গালীর ইতিহাসে এ ঘটনা—অপূর্ব এবং অদ্বিতীয়।