পাতা:রাজা রামমোহন - দেবেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য্য.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

80 ब्रांडों झांभाभांश्न এর আন্দোলন চলিতেছিল। রাজা সেই মহাসভায় সেই সম্বন্ধে ইংরাজীতে এমন চমৎকার যুক্তিপূর্ণ বক্তৃতা করিলেন যে বিলাতবাসী সকলেই তাহার প্রতিভা দেখিয়া অবাক হইয়া গেল। তৎপরে রাজা রামমোহনের আন্দোলন আলোচনা ও মন্ত্রীসভায় বহু তর্ক-বিতর্ক ও বাদানু-বাদের ফলে সেই “সংস্কার আইন” পাশ হইল-তাহাতে এদেশের শ্রমজীবীদের অনেক দুঃখ কষ্ট দূর হইল-রাজ্য আপনাকে ধন্য জ্ঞান করিয়া আনন্দিত হইলেন । শুধু সেই কাৰ্য্য করিয়াই বিলাতে তিনি নিরস্ত হইলেন না। যাহাতে এদেশের প্রজাদের উপর বেশী রাজকর না চাপিয়া বসে, যাহাতে প্ৰজাসাধারণ জমীদারদের অত্যাচারের হস্ত হইতে রক্ষা পায়, যাহাতে এদেশের লোক উচ্চশিক্ষিত হইয়া হাকিম হইতে পারে, যাহাতে এদেশের লোককে বেশী বেতনের বড় বড় রাজকাৰ্য্যে নিযুক্ত করা হয়, সেই বিষয়ে চেষ্টা করিতে লাগিলেন। তঁহার দয়ায়, তাহার শক্তিতে, তাহার চেষ্টায় ভারতবাসী এক্ষণে সেই সমস্ত অধিকারই পাইয়াছে । এইরূপে ধৰ্ম্মনীতিজ্ঞ, রাজনীতিজ্ঞ, পরম পণ্ডিত বলিয়া সমস্ত ইউরোপে রাজা রামমোহনের গৌরব প্রচারিত হইয়া পড়িল । তখন সম্রাট স্বয়ং মন্ত্রীসভা হইতে র্তাহার বাদশাহ প্ৰদত্ত ‘রাজা” উপাধি —আপনাদের প্রদত্ত উপাধি বলিয়া মঞ্জুর করিলেন। এই সময় হইতে রামমোহন যথার্থই বিলাতের ঘর ঘর হইতে রাজ-পূজা লাভ করিতে লাগিলেন । এমন কি সেখানে সম্রাটের অভিষেক কালে-অভিষেক স্থলে বসিবার জন্য তিনি মতা সম্মান ও গৌরবের আসন প্ৰাপ্ত হইলেন । তাহার পরে তিনি ফ্রান্স দেশে বেড়াইতে গেলেন । তঁহার পরম বন্ধু ডেভিড হেয়ার সাহেবের ভ্ৰাতাও তঁাহার সঙ্গে সহচর হইয়া গমন করিলেন। সেখানে তৎকালীর ফরাসী-সম্রাট “লুইফিলিপ স্বয়ং