পাতা:রাজা রামমোহন - দেবেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য্য.pdf/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਫ ਟੰ প্ৰথম পরিচ্ছেদ গাছটিতে কেমন ফল হইবে, অন্ধুর দেখিয়া তাহা যেমন বুঝিতে পারা যায় না, তেমনি, কেহ কখনও স্বপ্নেও ভাবে নাই যে, পরম হিন্দুবৈষ্ণব চূড়ামণি—শান্তস্বভাব কৃষ্ণচন্দ্ৰ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বংশে ভবিষ্যতে একজন বিদ্যোৎসাহী ধৰ্ম্ম-সংস্কারক জন্মিয়া-তৎকালীন হিন্দু-সমাজের কুসংস্কার ও সঙ্কীর্ণতার সীমা-গণ্ডি মুছিয়া ফেলিয়া-ভারতবর্ষ হইতে বিলাতপৰ্য্যন্ত মাতাইয়া তুলিবে ? কিন্তু ভগবানের ইচ্ছা কে বুঝিতে পারে ? কৃষ্ণচন্দ্রের পূর্ব-পুরুষেরা বাঙ্গালী ছিলেন না—তােহাঁদের বাস পশ্চিমে কনৌজ প্রদেশে। র্তাহারা প্ৰথমে সেখান হইতে পূৰ্ব্ব-বঙ্গে আসেন, তারপরে আবার কৰ্ম্মোপলক্ষে সেখান হইতে মুর্শিদাবাদ ও তথা হইতে ক্রমে হুগলি জেলায় আসিয়া বাস করেন । বাংলা দেশের জল, হাওয়া ও মাটীর গুণে দুই চার পুরুষেই সেই পশ্চিমদেশবাসিগণ ক্রমশঃ বাঙ্গালী হইয়া উঠিলেন এবং হুগলি জেলার “খানাকুল কৃষ্ণনগরের’ কাছে “রাধানগর’ নামক স্থানে ঘর বাড়ী বঁাধিলেন। ক্রমশঃ দেশের সঙ্গে তাঁহাদের সম্পর্ক একেবারে উঠিয়া গোল—সকলেই পুরাদস্তুর বাঙ্গালী হইয়া পড়িলেন, রাধানগর পৈত্রিক বাস্তুভিটা হইয়া উঠিল। তখন এদেশের রাজা-মুসলমান। নবাব-সরকারে বিস্তর হিন্দু চাকরি করিতেন এবং নিজ নিজ কাৰ্য্যদক্ষতা দেখাইয়া বড় বড় পদ পাইতেন। রাজপুরুষেরাও তঁহাদের গুণে মুগ্ধ হইয়া তাহাদিগকে