পাতা:রাজা সাহেব (১ম অংশ) - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রাজা সাহেব।
১৭

জহুরিকে মুক্তা সমেত আপনার বাসায় লইয়া যাইব। মুক্তা দেখিয়া যদি আপনার মনোনীত হয়, তাহা হইলে দর দস্তর ঠিক করিয়া আপনার নিকট উহা রাখিয়া দিবেন। পরে আপনার পরিচিত লোক দ্বারা উহার বাজার দর যাচাইয়া যদি সুবিধা বিবেচনা করেন, রাখিবেন, নচেৎ ফেরৎ দিবেন। পুনরায় অন্য জহুরিকে আমি ডাকিয়া আনিব; ইহাতে কোন প্রকারেই আপনার ঠকিবার সম্ভাবনা থাকবে না। আর আমরা মহাশয়দিগের ন্যায় সদাশয় ব্যক্তিগণের নিকটই প্রতিপালিত; সুতরাং যাহাতে আপনারা কোন প্রকার প্রতারিত বা ক্ষতিগ্রস্ত না হন, ইহাই আমাদের একমাত্র বাসনা ও কর্ত্তব্য কর্ম্ম।

 সেক্রেটারী বাবু মনে মনে ভাবিলেন যে, এ অতি উত্তম প্রস্তাব। ইহাতে কোন প্রকারেই ঠকিবার সম্ভাবনা নাই। মাল দেখিয়া, পছন্দ করিয়া, বাচাই করিয়া তাহার পর টাকা দিব, ইহাতে আর ঠকিব কি প্রকারে? দেবীলালের এ প্রস্তাব উত্তম। আমি জানিতাম না যে, বড় বাজারে এরূপ সৎ ও পরোপকারী দালালও আছে। প্রকাশ্যে বলিলেন, “আচ্ছা দেবীলাল! আমি তোমার প্রস্তাবেই সন্মত হইলাম। কল্য প্রত্যুষে তুমি একজন সদ্ব্যবসায়ী জহুরিকে ভাল মুক্তার সহিত আমার নিকট লইয়া যাইও। যদি মনোমত হয়, এবং সুবিধা বিবেচনা করি, তাহা হইলে আমি ক্রমে তোমাদ্বারা অনেক জহরৎ প্রভৃতি ক্রয় করিব।” এই বলিয়া সেক্রেটারী বাবু তাঁহার মেছুয়াবাজারের ঠিকানা একখানি কাগজে লিখিয়া দেবীলালের হতে প্রদান করিয়া