পাতা:রাজা সাহেব (১ম অংশ) - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৪
দারোগার দপ্তর, ১৪১ সংখ্যা।

 উহাদিগের কথা শ্রবণ করিয়া সেক্রেটারী বাবু অতিশয় সন্তুষ্ট হইলেন, এবং মনে মনে ভাবিলেন যে, ইহারা যাহা বলিতেছে, তাহা অপেক্ষা অন্য কোন সদুপায় আর নাই। ইহাদিগের প্রস্তাবিত উপায় অবলম্বন করিলে কিছুতেই আমাদিগের ঠকিবার সম্ভাবনা নাই। এই ভাবিয়া সেক্রেটারী বাবু মুক্তা কয়েকটী হস্তে লইয়া, দালালদ্বয়ের সহিত বড়বাজার-অভিমুখে গমন করিলেন।

 ভগবান দাস সেক্রেটারী বাবুকে একটা জহরতের দোকানে সর্ব প্রথম লইয়া গেলেন। সেইস্থানে সেক্রেটারী বাবুকে একজন সাবেক বড়লোক বলিয়া পরিচয় দিলেন, এবং মুক্তা কয়েকটা বাহির করিয়া সেই দোকানদারের হন্তে প্রদান করিয়া কহিলেন, “বিশেষ কোন কারণবশতঃ ইহাকে এই মুক্তা কয়েকটী বিক্রয় করিতে হইবে। আর আপনারা প্রকৃত যে দরে সইতে পারেন, তাহা বলিয়া দিন। নিতান্ত লোকসান না হইলে এখনই ইহা আপনার নিকট বিক্রয় করিবেন।”

 দোকানদার এই কথা শুনিয়া মুক্তা কয়েকটী উত্তমরূপে দেখিয়া কহিলেন, “এ অতি উৎকৃষ্ট মুক্তা, এরূপ মুক্তা সচরাচর বাজারে পাওয়া যায় না। আপনি যখন ইহা ক্রয় করিয়াছেন, তখন আপনাকে অধিক মূল্য প্রদান করিতে হইয়াছে; কিন্তু আজকাল মুক্তার বাজার অত্যন্ত নরম যাইতেছে। তথাপি যদি আপনি প্রকৃতই ইহা বিক্রয় করেন, তাহা হইলে আমি এই মূল্য প্রদান করিতে পারি।” এই বলিয়া সেই মুক্তা কয়েকটীর একটা দাম বলিয়া দিলেন।