পাতা:রাজা সাহেব (৩য় অংশ) - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

একাদশ পরিচ্ছেদ।

“ভায়ারও ফলার ?”

 পুলিসের হস্তে কোনরূপে এই মােকদ্দমার ভার যাহাতে অর্পিত হইতে পারে, এসিষ্টেণ্ট সেক্রেটারী বাবু প্রাণপণে তাহার চেষ্টা দেখিতে লাগিলেন। কারণ, যেরূপ ভাবে তাহাকে লােভ দেখাইয়া জুয়াচোরগণ তাহার নিকট হইতে পাঁচ হাজার টাকা বাহির করিয়া লইয়াছে, তাহা নিতান্ত সহজ অপরাধ না হইলেও আইন অনুসারে একায়েক অনুসন্ধান করিবার ক্ষমতা। সেই সময় কোন পুলিস-কর্মচারীর ছিল না। এখন যে আইনমতে কার্য্য হইতেছে, সেই আইনের পরিবর্তন সেই সময় ঘটে নাই, সুতরাং ম্যাজিষ্ট্রেট বা ম্যাজিষ্ট্রেটের ভারপ্রাপ্ত কোন পুলিস-কর্মচারীর আদেশ ব্যতীত অপর কোন পুলিস-কর্মচারী এই অনুসন্ধানে সেই সময় লিপ্ত হইতে পারিতেন না, একথা বােধ হয়, অনেক পাঠকই অবগত আছেন।

 যে সকল লােকের সহানুভূতি প্রাপ্ত হইলে পুলিসের হন্তে এই অনুসন্ধানের ভার অর্পিত হইতে পারিবে, এসিষ্টেণ্ট সেক্রেটারী বাবুর বন্ধু-বান্ধবগণ তাহার জন্য চেষ্টা করিতে লাগিলেন। সেক্রেটারী বাবু সেই দিবসই আহারাদির পর বড়বাজারে সেই দোকানদারের সহিত সাক্ষাৎ করিলেন।

 দোকানে গিয়া দেখিলেন যে, সেক্রেটারী বাবুর মত যিনি হাজার টাকা জলাঞ্জলি দিয়াছেন, তিনও একজন