পাতা:রাণী না খুনি? (শেষ অংশ) - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৪
দারোগার দপ্তর, ৮১ম সংখ্যা।

করেন, এবং বাজারে ঘূরিয়া ঘূরিয়া তিনি নিতান্ত ত্যক্ত হইয়া পড়েন। বাজারে গমন করিলেই, বাজারে যে সকল দালাল আছে, তাহারা, আসিয়া তাঁহার সহিত মিলিত হয়, ও তিনি যে দ্রব্য ক্রয় করিতে চাহেন, সেই দ্রব্য ক্রয় করিয়া দেওয়াইবার মানসে তাহাদিগের পরিচিত যে সকল দোকানে সেই সকল দ্রব্য পাওয়া যায়, সেই সকল দোকানে তাঁহাকে লইয়া গিয়া তাঁহাকে সেই সকল দ্রব্য দেখায়। সেই সকল দ্রব্যের মধ্যে তাঁহার যে কোন দ্রব্য পসন্দ হয়, তাহার মূল্য চতুর্গুণ করিয়া বলিয়া দেয়। এইরূপে কয়েকদিবস পর্য্যন্ত অনবরত তিনি দালালগণের সহিত বাজারে বাজারে ঘুরিয়া বেড়ান; কিন্ত কোন দ্রব্যই তিনি খরিদ করিয়া উঠিতে পারেন না।

 “আমি এই সংবাদ জানিতে পারিয়া একদিবস তাঁহার বাড়ীতে গিয়া উপস্থিত হইলাম, এবং তাঁহার সহিত আমি সাক্ষাৎ করিলাম। আমি বড়বাজারের একজন প্রধান দোকানদার এই কথা বলিয়া আমি তাঁহার নিকট আমার পরিচয় প্রদান করিলাম ও কহিলাম, ‘আজ কয়েকদিবস পর্য্যন্ত দেখিতেছি, আপনি কতকগুলি দ্রব্যাদি ক্রয় করিবার মানসে দালালগণের সহিত দোকানে দোকানে ঘূরিয়া বেড়াইতেছেন। কিন্তু এ পর্য্যন্ত কোন দ্রব্যই আপনি ক্রয় করিয়া উঠিতে পারেন নাই। আমার বিশ্বাস, যে পর্য্য়ন্ত সেই দালালগণ আপনাকে পরিত্যাগ না করিবে, সেই পর্য্যন্ত আপনি, কোন দ্রব্য ক্রয় করিতে পারিবেন না। কারণ, উহারা আপনাকে সঙ্গে করিয়া যে কোন দোকানে লইয়া যাইবে, দোকানদার আপনার নিকট তাহারই চতুর্গুণ মূল্য চাহিয়া বসিবে। কারণ, সেই দ্রব্য যদি আপনার ক্রয় করা হয়, তাহা