পাতা:রাণী ভবানী - হারাণচন্দ্র রক্ষিত.pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SC e রাণী ভবানী । ৰজ্জিত সদানন্দময় হাসিমুখ। যেমন সকলের সহানুভূতি ও শুভদৃষ্টিলাভে কৃতাৰ্থ হইয়া থাকে ;-তেমনি লক্ষ্মীস্বরূপা ভবানীর আগমনের সঙ্গে সঙ্গে-বিপুল রাজ-পরিবারে শ্ৰী, শোভা, সম্পদ, শ্ৰীতি, প্ৰসন্নতা, শান্তি-যেন পূর্ণমাত্রায় বিরাজ করিতে লাগিল। ভবানীর সে পুণ্যময়ী দেবীমূৰ্ত্তি দেখিলে, কাহারও মনে আর কোনরূপ খল-কপটতা বা পাপ-হিংসার আবির্ভাব হয় না। এই হিসাবে, মহারাজ রামজীবনের সংসার,- পরম পুণ্যের সংসার বলিতে পারা যায়, এবং এই হিসাবে, নবাগতা রাজবধূকে “রাজলক্ষ্মী’ নামে অভিহিত করা যাইতে পারে। নহিলে, ভবানীর বিবাহের পূর্ব হইতেই, রাজপরিবারের মধ্যে যে কলহ, আত্মদ্রোহ ও বিদ্বেষগ্নি ধিকি বিকি জ্বলিতেছিল,— — কিন্তু সে কথা বলিবার পূর্বে ভবানীর শান্তিময় সংসার-ধন্মের দুই একটি কথা বলিব । বিবাহের পর ছয় বৎসর অতিবাহিত হইয়া গিয়াছে, - ভবানীর সে সোনার শৈশব আর নাই-এখন সুখদুঃখময় কৈশোর অবস্থা। কিশোরী রাজলক্ষ্মীর সে অপরূপ রূপ,-“এখন ষোলকলায় পূর্ণ।-যেন মূৰ্ত্তিমতী ভগবতী,-সৌন্দৰ্য্য, মাধুৰ্য্য ও আনন্দ লইয়া, পতিগ্নহে বিরাজ করিতেছেন। পতি রামকান্ত, ভবানীকে প্ৰাণের সমান ভালবাসিতেন । কিশোরীর রূপ দেখিয়া যে ভালবাসা, সে ভালবাসা নহে,- পতিপ্ৰাণা ভক্তিমতীর হৃদয় আকর্ষণে যে পুণ্যময় অনুরাগ জন্মে,-সেই অনুরাগ-গুণে তিনি ভালবাসিতেন। সে ভালবাসায়, দুইজন দুইজনকে প্ৰেমডোরে বাধিয়া রাখিলেন। এ পবিত্র বন্ধন, ইহজীবনে বিচ্ছিন্ন হইবার নহে।