Σ68 রাণী ভবানী । ভবানীর শ্বশ্নঠিাকুরাণী বহুপূৰ্ব্বে স্বৰ্গারূঢ় হইয়াছিলেন ; সুতরাং ভবানীকে একরূপ বিয়ের ক’নে হইতেই এই এত दए qक বৃহৎ রাজ-সংসারের ভার গ্ৰহণ করিতে হইয়াছে ;-তথাপি সে সংসার এমন সুশৃঙ্খল, শান্তিপূর্ণ ও পবিত্রতাময়। তাই বৃদ্ধ রামজীবন এত সুখী-এমন আনন্দময়। এক এক দিন তিনি আপন মনের ভাব, বন্ধুমাতার নিকট প্রকাশ করিয়াও ফেলিতেন । বলিতেন,-- “মা আমার ! শুভক্ষণে তোমায় গৃহে আনিয়াছিলাম, তাই নাটোর-রাজপরিবারের এই সুখৈশ্বৰ্য্য সার্থক হইল। নহিলে এতদিনে মা কে কোথায় ছড়াইয়া পড়িত,- জমিদারী বাড়ীঘর সব ভাগ-বাটোয়ার। হইয়া গাইত,-কাহারে সহিত কাহারো মনের মিল থাকিত না,-এ পুরী শ্মশানতুল্য হইত। ;- মা আমার! তুমিই করুণাময়ী দেবী-মূৰ্ত্তিতে আসিয়া সব রক্ষা করিলে। --হায়, গৃহিণী স্বৰ্গরূঢ়া ;-আমার ও দিন ফুরাইয়া আসিয়াছে ;-তোমাকেই মা। এ সংসার-ধৰ্ম্ম রাখিতে হইবে । তা মা, তুমি ও তা রাখিতে পরিবে ;-রাজলক্ষ্মী দেবীজ্ঞানে তুমি সকলের হৃদয়ে আসন পাইয়াছ ;- তোমার পুণ্যে সকলই রক্ষা পাইবে। আশীৰ্ব্বাদ করি মা, সৎপুলের জননী হইয়া পতিপুত্ৰ লইয়া, চিরায়ুষ্মতী হইয়া থাক।” শ্বশুরের এইরূপ শুভ আশীৰ্ব্বাদ, স্বামীর পূৰ্ব্বেক্তরূপ উচ্চধারণা ও মেহ,-কুবেরের ভাণ্ডার তুল্য রাজার সংসার,-সে সংসারের সর্বময়ী কত্রী ;-ভবানীর জীবন মধুময় হইয়া উঠিল সু-পরিপূর্ণ অনুরাগে তিনি সংসার-ধৰ্ম্ম পালন করিতে ब्रान्विन् ।
