পাতা:রাণী ভবানী - হারাণচন্দ্র রক্ষিত.pdf/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম পরিচ্ছেদ । Seb> ভবানী, হস্তে মুখ আবৃত করিয়া, নীরবে কঁাদিতে লাগিলেন। রমাকান্ত পুনরায় বলিলেন, “প্ৰাণাধিকে, কঁাদিও না । ভাবিয়া দেখ, এ সংসারে যে সহিতে পারে, সে-ই ধন্য। ধূপ আগুনে পুড়ে, পুড়িয়াও সৌরভ দেয়। সতলক্ষ্মী সীতা আজীবন BDDYSgDD DBDDBBB S BBB S DBDBD BDBDSttBDDBD জগৎ আমোদিত !” এবার ভবানী, কি ভাবিয়া, মুখ তুলিলেন। একটি দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিয়া, স্বামীর মুখের পানে, নীরবে চাহিয়া রহিলেন। রামকান্ত বলিতে লাগিলেন,-“প্রিয়তমে, শোকে দুঃখে৷ বিপদে-সহিষ্ণুতাই জীবনের সারা করিও।--যে সয়, সে অনেক কাজ করিয়া যায়। তুমিও অনেক কাজ করিয়া যাইবে।” রুদ্ধকণ্ঠে ভবানী এবার বলিলেন,-“প্ৰভু, তোমা হারা হইয়া আমার আর কি কাজ আছে ? কৈ, সে কাজ ত আমায় কেহ শিখায় নাই ? তোমার সঙ্গে এ দেহেরও অবসান-ইহাই জানিয়া আসিয়াছি।” রামকান্ত । না, সহমরণে তোমার অধিকার নাই । অন্ততঃ, আমার সেরূপ ইচ্ছা নয়। পবিত্র ব্ৰহ্মচৰ্য্য-ব্ৰত তোমায় অবলম্বন করিতে হইবে । যাহারা তাহা না পারে, তাহদের পক্ষেই সহমরণ বিধি বটে। কিন্তু তুমি তাহা পরিবো,-সে। সৌভাগ্য তোমার আছে। বহুদিন পরে তুমিই আবার এ পুণ্যভূমি ভারতে, নিষ্কামধৰ্ম্মের মাহাত্ম্য দেখাইবে । পারসেবাত্ৰত গ্ৰহণ করিয়া, “দীনজননী দয়াময়ী ভবানী” নামে তুমি অভিহিত হইবে,-ইহাই যেন আমি দিব্যচক্ষে দেখিতে পাইতেছি।- প্রিয়ে, দেবলোকে আবার আমরা মিলিত হইব ।