& © ब्रखनौ বিষ্ণু। যদি সংশয় থাকে, তবে এখনই তাহ ভঞ্জন হইবে। পড়িয়া যাউন। । পড়িতে লাগিলাম যে, সে বলিতেছে, “আমার ছয় মাসের একটি কঙ্কা আছে। এক । সপ্তাহ হইল, তাহার অনুপ্রাশন দিয়াছি। অন্নপ্রাশনের দিন বৈকালে তাহার বাল চুৰি o গিয়াছে।” - r" - . . . - - ধী এই পৰ্য্যন্ত পড়িয়া দেখিলে, বিষ্ণুরাম বলিলেন, “দেখুন, কত দিনের জোবানবন্দী ?” জোবানবন্দীর তারিখ দেখিলাম, জোবানবন্দী উনিশ বৎসরের। বিষ্ণুরাম বলিলেন, “ঐ কস্তার বয়স এক্ষণে হিসাবে কত হয় ?” আমি। উনিশ বৎসর কয় মাস—প্রায় কুড়ি । বিষ্ণু। রজনীর বয়স কত অনুমান করেন ? আমি । প্রায় কুড়ি । বিষ্ণু পড়িয়া যাউন ; হরেকৃষ্ণ কিছু পরে বালিকার নামোল্লেখ করিয়াছেন। আমি পড়িতে লাগিলাম। দেখিলাম যে, এক স্থানে হরেকৃষ্ণ পুনঃপ্রাপ্ত বালা দেখিয়৷ বলিতেছেন, “এই বালা আমার কন্যা রজনীর বালা বটে।” আর বড় সংশয়ের কথা রহিল না—তথাপি পড়িতে লাগিলাম। প্রতিবাদীর মোক্তার হরেকৃষ্ণকে জিজ্ঞাসা করিতেছেন, “তুমি দরিদ্র লোক। তোমার কন্যাকে সোণার বালা দিলে কি প্রকারে ?” হরেকৃষ্ণ উত্তর দিতেছে, “আমি গরীব, কিন্তু আমার ভাই মনোহর দাস দশটাকা উপার্জন করেন। তিনি আমার মেয়েকে সোণার গহনাগুলি দিয়াছেন।” তবে যে এই হরেকৃষ্ণ দাস আমাদিগের মনােহর দাসের ভাই, তদ্বিষয়ে আর সংশয়ের স্থান রহিল না । পরে মোক্তার আবার জিজ্ঞাসা করিতেছেন, “তোমার ভাই তোমার পরিবার বা তোমার আর কাহাকে কখন অলঙ্কার দিয়াছে ?” উত্তর । না । পুনশ্চ প্রশ্ন। সংসার খরচ দেয় ? উত্তর । না । প্রশ্ন। তবে তোমার কন্যাকে অন্নপ্রাশনে সোণার গহনা দিবার কারণ কি ? উত্তর । আমার এই মেয়েটি জন্মান্ধ । সে জন্ত আমার স্ত্রী সৰ্ব্বদা কাদিয়া থাকে। আমার ভাই ও ভাইজ তাহাতে দুঃখিত হইয়া, আমাদিগের মনোদুঃখ যদি কিছু নিবারণ হয়, এই ভাবিয়া অন্নপ্রাশনের সময় মেয়েটিকে এই গহনাগুলি দিয়াছিলেন।
