পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> 気 ○ "হারাণী শরৎসুন্দরীর জীবন-চরিত। লাভ করিতে পারে, মানবীয় কুপ্রবৃত্তিনিচয় ধৰ্ম্মচর্চার মহীয়সী শক্তিতে কতদূর পর্য্যন্ত নিস্তেজ হইতে পারে, ইনি তাহার জীবিত দৃষ্টান্ত স্থল। অতুল ঐশ্বৰ্য্যের অধিকারিণী হইয়াও আহার, বিহার এবং ভোগ-বিলাসাদিকে পদতলে দলিত করতঃ বিশুদ্ধ ধৰ্ম্মের জন্য, পরোপকারের জন্য আপনার জীবনকে উৎসর্গ করিয়াছেন । এই উনবিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে পাশ্চত্য শিক্ষা ও সভ্যতার প্রভাবে বঙ্গীয় ললনাগণ, পরণপরিচ্ছদ এবং ভোগ-বিলাসে অনুক্ষণ নিরত রহিয়াছেন ; কিন্তু পবিত্র চরিত্র মহারাণী শরৎসুন্দরী দেবী, পূর্ণ যৌবন ও অতুল ঐশ্বৰ্য্যের অধিকারিণী হইয়াও, প্রাচীন ভারত মহিলাগণের গৌরবের স্থল। ইনি সতীত্ব, ধৰ্ম্মনিষ্ঠা, ত্যাগ স্বীকার, ও বিষয়ুবাসনা পরিত্যাগ প্রভৃতি সদগুণের মহদাদর্শ প্রদর্শন করিতেছেন। কি ইংরেজ, কি বঙ্গবাসী, কি হিন্দুস্থানী, সকলেই একবাক্যে এক হৃদয়ে ইহার যশোকীৰ্ত্তন করিতেছেন।” কুলশাস্ত্র দীপিকা, ৫২ পৃঃ হইতে ৫৫ পৃষ্ঠ । ংবাদ পত্রের অভিমত নিয়ে উদ্ধৃত হইল। “নুতন বৎসরের প্রথম দিনে মহারাণী শরৎসুন্দরী দেবী বিষয় ভার হইতে অবসর গ্রহণ করিয়াছেন। ইহা বাঙ্গালির পক্ষে শুভসংবাদ নহে । অলৌকিক ধৰ্ম্মভাব এবং দানশীলতার জন্ত বঙ্গদেশে শরৎসুন্দরী প্রাতঃস্মরণীয়া হইয়াছেন। হিন্দু সন্তানের চক্ষে তিনি পবিত্র আর্য্যনারী-কুলের আদর্শ-স্বরূপ। অন্ত ধৰ্ম্মাবলম্বীগণও একবাক্যে র্তাহাকে ভক্তি শ্রদ্ধা করিয়া থাকেন। এরূপ বিশ্বজনীন ভক্তি-প্রীতি যাহার পুরস্কার, তাহার জীবনী আলোচনায় পুণ্য আছে। ১২৫৬ সালের আশ্বিন মাসে মহারাণী জন্মগ্রহণ করেন। নিজ পুঠিয়াতেই তাহার পিত্ৰালয়। পিতা স্বৰ্গীয় ভৈরবনাথ সান্তাল মহাশয় পুঠিয়ার একজন সন্ত্রাস্ত জমিদার। তিনি গোড় হিন্দু ছিলেন ; হিন্দু