পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবন-চর্তি । ‘Po ව් সুখ্যাতির কথা । গতবৎসর পর্য্যন্ত মহারাণী প্রায় সকল বাঙ্গল। সাময়িক পত্র গ্রহণ ও পাঠ করিতেন। অনেক বাঙ্গল গ্রন্থকার তাহার উৎসাহ ও অর্থানুকুল্য লাভ করিয়া থাকেন। তাহার প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়সমূহ, তাহার সাহায্যাধীন বিদ্যার্থ নিরাশ্রয় ভক্রসস্তানগণ তাহার বিদ্যোৎসাহিতার প্রমাণ । সেই সব ভদ্রসন্তানের প্রতি র্তাহার স্নেহ এবং যত্ন মনে করিলে চমৎকৃত হইতে হয়। রাজসাহী কলেজের সুন্দর গৃহগুলি, রেইল প্রভৃতি তাহাদের দুই স্ত্রী পুরুষের অক্ষয়কীৰ্ত্তি। অন্তঃপুরে বসিয়াও ভারতবর্ষের উন্নতির স্বচনামাত্রে র্তাহার মনে কেমন আনন্দ, কেমন উৎসাহ জন্মে, আত্মশাসনপ্রণালী উপলক্ষে গতবৎসর পুঠিয়ার বিরাটসভা তাহার উদাহরণ । সেই সভার পদার অন্তরালে মহারাণী স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন। বোধ হয় অনেকেই জানেন যে আত্মশাসন সম্পর্কে এদেশে সেই প্রথম সভা । মহারাণী শরৎসুন্দরী হিন্দুধৰ্ম্মে অনন্ত বিশ্বাসবতী। র্তাহার জীবন হিন্দুধৰ্ম্মময় ,—হিন্দুশাস্ত্রের সকল অনুশাসন তিনি অক্ষরে অক্ষরে প্রতিপালন করিয়া থাকেন। বাল-বিধবা সেই আবাল্য যথাশাস্ত্র ব্রহ্মচৰ্য্যঅবলম্বন করিয়া জীবন অতিবাহিত করিয়া আসিতেছেন। এই কঠোর ধৰ্ম্মভাবের ফলে তাহার স্বাস্থ্য চিরদিনের মত ভাঙ্গিয়া গিয়াছে। সেবার গঙ্গাসাগর হইতে ফিরিয়া কলিকাতায় প্রাণসংশয়রূপে পীড়িত হন । সেই অবধিই প্রায় অসুস্থ । কিন্তু অসুখের কথা সহজে কেহ জানিতে পারে না। সূৰ্ব্বদা অনাবৃত হর্মুতিলে বসিয়া থাকা তাহার নিয়ম। পীড়ার কষ্ট অসহ না হইলে আর শয্যার আশ্রয় গ্রহণ করেন না। সুতরাং পীড়া গুরুতর হইয়া না দাড়াইলে কখন তাহার চিকিৎসা হইতে পায় না। নিরাশ্রয়া বিধবা ব্রাহ্মণ কন্ত সংখ্যায় অনেকগুলি বারমাস র্তাহার আশ্রয়ে রাজাস্তঃপুরে বাস করেন। অনেক সময়